মেধা পাচার বলতে সাধারণত বুঝায় কোন দেশের মেধাবী শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ জনশক্তির নিজ দেশ ত্যাগ করে বিদেশকে কর্মক্ষেত্র হিসেবে স্থায়ীভাবে বেছে নেয়া। এই মেধা পাচার ঘটে সাধারণত অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে। কম বেশি সকল দেশেই এই সমস্যা আজ প্রকট।এটাকেই মেধা পাচার/ব্রেইন ড্রেইন বলে।
সাধারণত যুদ্ধ, সুযোগ সুবিধার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা বা জীবন যাপনের ঝুঁকির এড়াতে মেধা পাচার ঘটে থাকে। মেধা পাচারের কারণে একটি দেশ তার সবচেয়ে মেধাবী, জ্ঞানী, দক্ষ ও যোগ্য নাগরিককে হারায়।
বৃটেনের রয়েল সোসাইটি মেধা পাচার বলতে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের উত্তর আমেরিকা অথবা ইউরোপে অভিবাসনকে বুঝিয়েছে। মেধা পাচারের বিপরীত শব্দ হল মেধা আহরণ এটা হয় যখন কোন দেশে বহু সংখ্যক দক্ষ লোকের আগমন ঘটে। যোগ্য ও অভিজ্ঞ লোকদের তাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ দিয়ে এবং জীবনযাত্রার অন্যান্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করে মেধা পাচার রোধ করা যায়। মেধাপাচার উন্নয়নশীল দেশ গুলোর মধ্যে বেশি দেখা যায় যেমন আফ্রিকার কলোনিগুলো, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া।
একজন মেধাবী দেশে যখন তাঁর যোগ্যতা অনুসারে চাকরি না পান, তখন তিনি হতাশ হবেন, এটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে নিরাপদ, সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য তিনি যদি বিদেশে চলে যায়, তবে তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বিদেশে মেধা পাচারের ক্ষেত্রে মূল দায় পড়ে দেশের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ওপর, যারা মেধাবীদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ঠিকমতো দিশানির্দেশ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আর সরকারের নীতির অভাব। তাই বিদেশে মেধা পাচার রোধে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে মেধাবীদের দেশে যথাযথ মূল্যায়নে এখনই সচেতন হতে হবে। এ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের যথাযোগ্য মূল্যায়নের মাধ্যমে তাঁদের দেশের কল্যাণে নিয়োজিত করতে হবে। মেধার পাচার রুখে দিতে পারলে সেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। আর একটি কথা না বলে পারছি না খুব দুঃখ লাগে যদিও কাউকে ধর্মীয় আঘাত দিয়ে বলছিনা। সমাজের এক শ্রেণীর লোক যাদের কাজ হল খুব শিক্ষিত পড়ুয়াদের বেছে বেছে তাদের কট্টর ধর্মীয়, দেশবিরোধী, সন্ত্রাসবাদী কাজে কাজে লাগিয়ে দেওয়া। সত্যিই এটা একটা দেশের জন্য মঙ্গল কর নয়।
Source : Wekipedia , quora