আমাদের মগজের ভেতর রয়েছে 'হাইপোথ্যালামাস', যার আবার বিশেষ একটা অংশ শরীরের তাপনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। রোগজীবাণুর সংক্রমণের ফলে কখনো কখনো জীবাণুদের শরীরে তৈরি হওয়া টক্সিন বা বিষাক্ত রাসায়নিক, শরীরের ওই তাপনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে বিগড়ে দেয়।
হাইপোথ্যালামাসে তখন পাইরোজেন উদ্দীপ্ত হয়, এসব টক্সিন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ। এর মধ্যে কিছু পদার্থ যেমন, ইন্টারলিউকিন, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন এগুলো শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। এজন্যে এগুলোকে বলে পাইরোজেন বা জ্বর উৎপাদক। এই পাইরোজোন ক্ষরনের ফলে শরীরের ভিতর তাপ উৎপাদনের হার বেড়ে যায়, মূখে তিতো তিতো লাগে, শরীর থেকে তাপ বেরিয়ে যাবার হার যায় কমে। ফলে গা গরম হয়ে ওঠে। এটাকেই জ্বরের অবস্থা বা জ্বর বলে জানি।