পরিক্ষা:
প্রথমে জেনে নিন কি ভাঙলে কি হয় ।
Anti-A : ভাঙলে A গ্রুপ, না ভাঙলে B গ্রুপ ।
Anti-B : ভাঙলে B গ্রুপ, না ভাঙলে A গ্রুপ ।
Anti-A ও Anti-B দুটোই ভাঙলে AB গ্রুপ, দুটোর একটা ও না ভাঙলে O গ্রুপ।
Rh-factor (Anti-D) : ভাঙলে + (পজেটিভ), না ভাঙলে - (নেগেটিভ) ।
১। প্রথমে একটি স্লাইড নিয়ে মারকারি পেনের সাহায্যে দাগ কেটে ৩ ভাগে ভাগ করি ।
২। যার রক্ত পরিক্ষা করতে হবে তার হাতের একটি আঙ্গুল চেপে ধরে সুচ দিয়ে আঙ্গুলের মাথায় ফুটা করি ।
৩। এবার স্লাইডের ৩ জায়গায় ৩ ফোটা রক্ত নিই ।
৪। স্লাইডের প্রথম ভাগে Anti-A, দ্বিতীয় ভাগে Anti-B এবং তৃতীয় ভাগে Rh-factor বা Anti-D এক ফোটা করে দিই ।
৫। ৩টি পৃথক কাঠি দিয়ে সতর্কতার সাথে Anti-A, Anti-B ও Anti-D বা (Rh-factor) কে রক্তের সাথে ভালভাবে মিশ্রিত করি যেন একটার সাথে অন্যটা না মিশে যায় ।
৬। এরপর পর্যাপ্ত আলোর কাছে গিয়ে ৩টি ভাগের রক্তকে ভালো করে লক্ষ করি। তারপর আগের প্রদত্ত নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত প্রদান করি ।
উদাহরণ :
এখানে আমি আমার নিজের রক্তের গ্রুপের উদাহরণ দিলাম.......
এখানে Anti-A ভেঙ্গেছে কিন্তু Anti-B ভাঙেনি । আবার Rh-factor বা Anti-D ভেঙ্গেছে । অতএব এর থেকে আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, রক্তের গ্রুপটা A+ (এ পজেটিভ)। কারণ Anti-A ভেঙেছে কিন্তু Anti-B ভাঙ্গে নি, অতএব রক্তের গ্রুপ শুধুমাত্র A এবং একই সাথে Rh-factor বা Anti-D ও ভেঙ্গেছে। অর্থাৎ এটা পজেটিভ।
অর্থাৎ সবমিলে A+ (এ পজেটিভ)।
উদাহরণ-২ :
এখানে একটি O- রক্তের গ্রুপের উদাহরণ দিলাম.......
এখানে Anti-A এবং Anti-B দুটোর একটাও ভাঙে নাই। অর্থাৎ এটি O (জিরো বা ও) গ্রুপ। আবার একই সাথে Rh-factor বা Anti-D সেটাও ভাঙে নি । অর্থাৎ এটা -(নেগেটিভ)।
অর্থাৎ সবমিলে এটা O- (ও নেগেটিভ)।
একই নিয়মে সব গ্রুপের রক্ত নির্ণয় করতে হয় ।