লাফিং গ্যাস(Laughing gas) হাসায় কীভাবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+16 টি ভোট
2,564 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (71,300 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)

লাফিং গ্যাস হলো নাইট্রোজেনের একটি অক্সাইড যাকে নাইট্রাস অক্সাইড(Nitrous Oxide) নামে ডাকা হয়। এটি অধিক পরিমাণে সেবনে ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে রাগ ও ভয় দূর করতে পারে এই লাফিং গ্যাস।

মৃদু মিষ্টি গন্ধযুক্ত বর্ণহীন এ অক্সাইড মানুষ নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে হাসির উদ্রেক ঘটে। এর প্রধান কাজ মূলত ব্যাথা কমানো হলেও এটি মানুষের মনে চনমনে ভাব তৈরি করে তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে লাফিং গ্যাস।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই নাইট্রাস অক্সাইড গ্রহণ করা হলে তা রক্তের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের ভিতর আমাদের মস্তিষ্কে চলে যায়।

মস্তিষ্কে গিয়ে নাইট্রাস অক্সাইড NMDA(গুটামেট রিসেপ্টর) এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং একই সাথে Parasympathetic GABA রিসেপ্টরকে উত্তেজিত করে তোলে। যার ফলে মানুষের হাসির উদ্রেক ঘটে, ব্যাথাবোধ হ্রাস পায়।

ডাক্তাররা বিশেষ করে ডেনটিস্টরা দাঁতের অস্ত্রোপচারে এটিকে ব্যবহার করেন যাতে করে রোগী সামান্য সময়ের জন্য হলেও ব্যাথা কম অনুভব করে।

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

১৭৭৫ সালে জোসেফ প্রিস্টলী প্রথম এই গ্যাসটি আবিষ্কার করেন আবার কারো মতে হামফ্রে ডেভী এই গ্যাসের আবিষ্কারক। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে স্যার হামফ্রে ডেভীই প্রথম এই গ্যাস নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করেছিলেন। স্বভাবতই তিনি প্রথম এই গ্যাসের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন। রাসানিকভাবে লাফিং গ্যাস হলো নাইট্রজেনের একটি অক্সাইড যাকে নাইট্রাস অক্সাইড নামে ডাকা হয়। মৃদ্যু মিষ্টি গন্ধযুক্ত বর্ণহীন এই অক্সাইড মানুষ নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে হাসির উদ্রেক ঘটে। এর প্রধান কাজ মূলত ব্যাথা কমানো হলেও এটি মানুষের মনে চনমনে ভাব তৈরী করে তাই একে আদর করে নাম দেওয়া হয়েছে লাফিং গ্যাস। 

লাফিং গ্যাসের কাজ নিয়ে মানুষের কৌতুহল দীর্ঘদিনের। পুরোপুরি সঠিকভাবে নাইট্রাস অক্সাইড কাজের ধারা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যখন নাইট্রাস অক্সাইড গ্রহণ করা হয় তা রক্তের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের ভিতর আমাদের মস্তিষ্কে চলে যায়। মজার জিনিস হলো, এটি ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তের সাথে মিশে হিমোগ্লোবিনের সাথে কোনোরকম বন্ধনে জড়ায়না। তাই মানবদেহে এর স্থায়িত্ব অল্প সময়ের জন্য। মস্তিষ্কে গিয়ে এই নাইট্রাস অক্সাইড গ্লুটামেট রিসেপটরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে একই সাথে Parasympathetic GABA রিসেপটরকে উত্তেজিত করে তোলে। এই উত্তেজিত GABA রিসেপটর কিছু নিউরোট্রন্সমিটার ক্ষরণ করে যার ফলে মানুষের হাসির উদ্রেক ঘটে, ব্যাথাবোধ হ্রাস পায়। এন্ডোরফিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার ক্ষরণের সাহায্য করে লাফিং গ্যাস আমাদের ব্যাথাবোধ কমিয়ে দেয়।

দীর্ঘদিন যাবৎ লাফিং গ্যাসকে পার্টির অনুসঙ্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয় আসছে। লাফিং গ্যাস বা নাইট্রাস অক্সাইড যে শুধু হাসির বোধ তৈরী করে তাই নয়, এর সীমিত ব্যবহার মামুষের মনে ফুরফুরে চনমনে ভাব এনে দেয়। উত্তেজিত Parasympathetic GABA রিসেপটর মনুষের ব্যাথাবোধ কমিয়ে দেয়। আবার ক্লোরোর্ফম আবিষ্কারের আগে একে মৃদু চেতনানাশক হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে নাইট্রাস অক্সাইডের সাথে ২০% অক্সিজেন যুক্ত করে একে নেশাদ্রব্য হিসাবেও ব্যবহার করা হয় কেননা বার বার লাফিং গ্যাস গ্রহণ করলে তা আসক্তিতে পরিণত হয়।

কিন্তু বেশি পরিমাণে লাফিং গ্যাস গ্রহনের পরিণাম কী? 

অল্পমাত্রার লাফিং গ্যাস বড়জোর ৫ মিনিট আমাদের শরীরে থাকে। অল্প লাফিং গ্যাস মানুষের হাসির কারণ হলেও বেশি পরিমাণে লাফিং গ্যাস গ্রহণ করলে তা মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করে এতে মানুষ সাময়িকভাবে অচেতন হয়ে পড়ে, স্নায়ু কোষের ক্ষতিসাধন হয়, এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনে।

তথ্যসূত্র : আজকের পাঠ ব্লগস্পট

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+28 টি ভোট
3 টি উত্তর 6,132 বার দেখা হয়েছে
18 ফেব্রুয়ারি 2019 জিজ্ঞাসা করেছেন RakibHossainSajib (32,140 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
5 টি উত্তর 2,177 বার দেখা হয়েছে
05 জানুয়ারি 2022 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md. Arafat Hasan (16,190 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
1 উত্তর 844 বার দেখা হয়েছে
27 অগাস্ট 2019 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Jisan (240 পয়েন্ট)
+28 টি ভোট
5 টি উত্তর 3,898 বার দেখা হয়েছে
17 ফেব্রুয়ারি 2019 জিজ্ঞাসা করেছেন RakibHossainSajib (32,140 পয়েন্ট)

10,842 টি প্রশ্ন

18,542 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

845,335 জন সদস্য

39 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 39 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    340 পয়েন্ট

  2. NaeemAdnan

    170 পয়েন্ট

  3. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  4. Dibbo_Nath

    140 পয়েন্ট

  5. ceothanhcongsocolive

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...