Nishat Tasnim
কাঁচা হলুদের রস শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কাঁচা হলুদে ভিটামিন-সি থাকে যা, শুকনো হলুদে থাকে না। তবে দু’রকম হলুদেই কারকিউমিন থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি আমাদের পিত্ত নিঃসরণও বাড়িয়ে দেয়। ফলে এক দিকে হজম ক্ষমতা বাড়ে অন্য দিকে হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যাও কমে যায়।
কাঁচা ও শুকনো হলুদের গুঁড়োতে আছে প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন যৌগ, যা আসলেও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কারকিউমিন ছাড়াও হলুদে আছে ফোলেট যা ফলিক অ্যাসিডের মূল উপাদান (গর্ভাবস্থার শুরু থেকে নিয়মিত খাওয়া উচিত), নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। কাঁচা হলুদে আছে ভিটামিন সি। সুতরাং রোজ নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খাওয়া ও রান্নায় হলুদ ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়। সাধারণ জ্বর সর্দি হাঁচি কাশির পাশাপাশি কোভিডের মতো অসুখকে ঠেকাতে পারে। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন হলুদের মধ্যে থাকা কারকুমিন বিভিন্ন অসুখবিসুখের বিরুদ্ধে লড়াই এর এক অন্যতম হাতিয়ার।
বদহজম, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ ইত্যাদি পেটের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সকালে খালিপেটে কাঁচা হলুদ খেলে প্যানক্রিয়াস উদ্দীপিত হয় ও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। ফলে ডায়াবিটিস কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। ডায়াবিটিসের রোগীরাও হলুদ খেলে রোগের জটিলতা কম থাকে।
হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে পারে হলুদের কারকিউমিন। হৃদপিন্ডের রক্তবাহী ধমনীতে চর্বির প্রলেপ পড়ে আর্টারি সরু হয়ে গিয়ে হার্টে অক্সিজেন কমে যায়। এতে আচমকা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে হলুদ। রোজকার ডাল-তরকারিতে কিছুটা হলুদ থাকলে ধমনিতে চর্বি জমার হার অনেকটাই কমে যায়।
©সংগ্রহিত