Nishat Tasnim
শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। শীতে কমবেশী সবারই ঠোঁট ফাটে ।কারণ , এসময় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই ঠোঁট শুষ্ক থাকে এবং ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। অনেকের আবার শুধু শীতকালই নয়, সারা বছরে ঠোঁট শুষ্ক থাকে ও ফাটে।
কিছু মানুষ যারে যারা মনে করে শুধুমাত্র শীতে চামড়ার শুষ্কতার জন্য বুঝি ঠোঁট ফাটে। যার কারনে তারা বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয় না, বরং আরও বাড়ে।
সিবেসিয়াস গ্রন্থি(Sebaceous glands) নামক আণুবীক্ষণিক এক্সক্রনিক গ্রন্থি রয়েছে আমাদের ত্বকে বা চামড়ায়। যা থেকে একধরনের তৈলাক্ত(মেদ) বা মোমের মত রস ক্ষরিত হয় যাকে বলে সিবাম(sebum), যা আমাদের ঘামের সাথে মিশে পুরো চামড়ায় ছড়িয়ে যায় এবং চামড়াকে মসৃণ ও জলরোধী রাখে। এর ফলে চামড়া ফাটে না।
ঠোঁট ফাটার অন্যতম আরেকটি কারণ হচ্ছে ঠোঁট ও শরীরে আর্দ্রতার ভারসাম্যের অভাব। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ঠোঁট আর্দ্রতা হারায় খুব তাড়াতাড়ি। খেয়াল করে দেখবেন, কোনো কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে যে কোনো ঋতুতেই ঠোঁট ফেটে থাকে আমাদের। শীতের আগের মৌসুমী ঠান্ডা হাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় আছে, যা ঠোঁট ফাটাকে ত্বরান্বিত করে বা বাড়িয়ে দেয়। যেমন বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যেস, পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের অভাব, প্রখর সূর্যের তাপ ও পানিশূন্যতা, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সেবন।
©সংগ্রহিত