মশা কামড় দিলে চুলকায় কেনো ,সাথে সাথে কামড় দেওয়া জায়গাটা ফুলে উঠে কেনো..?? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
1,365 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (15,710 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (15,710 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim

মশা কামড়ালে মশার লালা আমাদের শরীরে ঢুকে। এর থেকে হিস্টামিন নামে একটা অ্যলার্জিক বস্তু বের হয়। যা ঐ জায়গায় চুলকানি তৈরি করে ও জায়গাটা ফুলিয়ে দেয় কারন ওখানকার ব্লাড ভেসেলগুলো ফুলে যায়। তাছাড়া মশা যখন কামড়ায় তখন মশার হুল থেকে স্পোরোজয়েট (এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ) গুলো দেহে প্রবেশ করে। অনাকাঙ্খিতভাবে এসব রাসায়ানিক উপাদান দেহে প্রবেশের ফলে দেহের স্বাভাবিক রাসায়ানিক উপাদান গুলোর অনুপাতের মাঝে ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় সাময়িক ভাবে দেহ ত্বক ফুলে যায় হয়ে এবং সেই স্থানে জ্বালা করে। একইসাথে ওখানকার নার্ভ রিসেপ্টরগুলোকে স্টিমুলেটেড করে তাই কামড় দেয়ার পরে টের পাই।

©সংগ্রহীত
0 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
মশার বেশির ভাগ প্রজাতিতে পুরুষ এবং স্ত্রী উভয়েই মধু এবং গাছের রস খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে অনেক প্রজাতিতে স্ত্রীদের মুখের বিভিন্ন অংশ রক্ত চোষার জন্য অভিযোজিত হয়েছে। অনেক প্রজাতিতে, ডিম পাড়ার ঠিক আগে রক্তে থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে হয়, আবার অনেক প্রজাতিতে রক্তে থেকে পুষ্টি গ্রহণ করার কারণ যাতে সে আরও সংখ্যায় ডিম পাড়তে পারে।

কোনো মানুষকে মশার বেশি পছন্দ হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রক্তের গ্রুপ ('ও' গ্রুপ মশার বেশি পছন্দ), দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাসের হার, প্রচুর পরিমাণে ত্বকের ব্যাকটিরিয়া, দেহের উচ্চ তাপ ইত্যাদি। তবে এই পছন্দের পেছনে জিনগতভাবে নিয়ন্ত্রিত উপাদানও রয়েছে বলে মনে করা হয়।

স্ত্রী মশা রক্ত খাবার জন্য মানুষের ত্বকে হুল ফুটানোর পরে তাদের চাহিদা মতো রক্ত চুষে খায়। কিন্তু এই সময় মশাদের জন্য সমস্যা হলো, মানুষের রক্ত বেশ দ্রুতই জমাট বেঁধে যায়। আর একবার জমাট বেঁধে গেলে তো মশারা আর রক্ত খেতে পারবে না। তাই তারা রক্ত যাতে জমাট না বাঁধে সেজন্য হুল ফুটানোর সময় তারা আমাদের শরীরে কিছুটা লালা ঢুকিয়ে দেয়। সেই লালা রসে কিছু তঞ্চন বিরোধী (Anticoagulants) উপাদান থাকে। এই লালা রস বিভিন্ন প্রোটিন নিয়ে তৈরি হয়। এটি যে অংশে মশা কামড়িয়েছে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এতে করে মশার মুখে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। আর তারা আরাম করে রক্ত খেতে পারে। মশা ও অন্য রক্তপায়ী পরজীবীদের এই বৈশিষ্টটি পরজীবীতার জন্য অভিযোজনের ফসল। উল্লেখ্য মশাটি সংক্রামিত থাকলে এই লালা রসের মাধ্যমে তা আমাদেরকেও সংক্রামিত করে।

এখন বিভিন্ন জৈবিক কাঠামো সহযোগে গঠিত জীবদেহের নিজস্ব অনাক্রম্যতন্ত্র বা প্রতিরক্ষাতন্ত্র বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Immune system) যা জীবদেহকে আক্রমণকারী রোগব্যধির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে মশার মুখ থেকে আসা স্যালাইভাতে উপস্থিত বিজাতীয় প্রোটিনগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করে। জীবদেহের এই অনাক্রম্যতন্ত্রও দীর্ঘ অভিযোজনের ফসল জীবদেহের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা জীবদেহকে আক্রমণকারী রোগব্যধির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। মানুষের শরীরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ফলে মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বা কিছুক্ষণ পরে জায়গাটি ফুলে যায় এবং চুলকাতে থাকে।

লক্ষ্য করে দেখুন এই ফুলে যাওয়া এবং চুলকাতে থাকার ব্যাপারটা বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে এটা একটা রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করে।যদি এই প্রতিক্রিয়াটি আমাদের শরীরে না তৈরি হত তাহলে যখন তখন, যত খুশি মশা আমাদের রক্ত খেয়ে চলে চলে যেত। চুলকায় বলেই আমরা বুঝতে পারি কিছু একটা কামড়াচ্ছে এবং নিজেকে নিরাপদ করার চেষ্টা করি। পরজীবী-পোষক সম্পর্কের অভিযোজনের এক উল্লেখযোগ্য দিক।
0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)
মশা রক্ত খাওয়ার সময় একপ্রকার এসিড নির্গত করে যা আপনার ত্বকের অনুভূতি ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করে দেয়। অনুভূতি যখন ফিরে আসে, তখন উক্ত এসিডের কারণে চুল্কায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 395 বার দেখা হয়েছে
29 জানুয়ারি 2022 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 603 বার দেখা হয়েছে
22 জানুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 887 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 441 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 196 বার দেখা হয়েছে
14 ডিসেম্বর 2020 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,330 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,138 জন সদস্য

87 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 85 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...