Nishat Tasnim
বাস্তবক্ষেত্রেও বীণ একটি আকর্ষণীয় বাদ্যযন্ত্র। ফুঁ দিয়ে বাজাতে হয় বলে এটি Wind Instrument বা শুষির শ্রেণীর বাদ্য। সাপ সারা বিশ্বে থাকলেও বীণের ব্যবহার দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে বেদে সম্প্রদায় বা সাপুড়েরা বীণ বাজিয়ে সাপ ধরে এবং বীণ বাজিয়েই সাপের খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে। এই কথা প্রচলিত যে, বীণের সুর সাপের মনে মন্ত্রের মতো কাজ করে। ফলে সাপ এর টানে ছুটে আসে বা এর তালে তালে নাচে। মজার ব্যাপার হলো, সাপ আসলে শুনতেই পায় না! কারণ সাপ শ্রবণযন্ত্রের ওপরে রয়েছে চামড়ার আচ্ছাদন। তবে সাপ খুব মৃদু শব্দেরও কম্পন টের পায় এবং সতর্ক হয়ে যায়। আমরা দেখি যে সাপ খুব ঘন ঘন জিভ বের করে। আসলে এই জিভের সাহায্যেই সে শব্দের কম্পন টের পায়। অনেক সময় বীণের শব্দের কম্পনের কারণেই সে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে আসে।