A Bm Mahaiuddin
মোমবাতির মোম আর চুলার মিথেন বা বিউটেন হলো হাইড্রোকার্বন। এই অণুগুলো তাপের কারণে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুতে বিয়োজিত হয়ে যায় এবং অক্সিজেন পরমাণুর সাথে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে। হাইড্রোকার্বন ও অক্সিজেনের বন্ধন শক্তি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানির শক্তির চেয়ে বেশি, তাই এ বিক্রিয়ায় শক্তি নির্গত হয়। এই শক্তিতে পরমাণুগুলোর ইলেকট্রন উপরের শক্তিস্তরে চলে যায় এবং নিচের স্তরে আসার সময় নীল আলো বিকিরণ করে। এখানে প্রায় ৩০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়। এটাই complete combustion. গ্যাস বার্নারে আর মোমবাতির গোড়ায় এই ধরনের আগুন তৈরি হয়। জ্বালানির কার্বন সংখ্যা বেশি হলে complete combustion ঘটতে পারে না। অবশিষ্ট পরমাণুগুলো রিং আকৃতির Polycyclic Aromatic Hydrocarbon এবং পরে ‘সুট’(soot) গঠন করে। সুট মূলত কার্বন পরমাণুর স্তূপ। এই পরমাণুগুলোর তাপে উত্তেজিত হয়ে কমলাটে হলুদ আলো বিকিরণ করে। এখানে প্রায় ১০০০-১২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াকে Incandescence বলে। এটি এক প্রকার Black-body Radiation. মোমবাতির উপরের অংশে, কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেলে বা কাঠে এ ধরনের আগুন তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, Incomplete Combustion-এ কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য জটিল যৌগ উৎপন্ন হয়, এগুলো এবং অবশিষ্ট হাইড্রোকার্বনগুলো ধোঁয়া হিসেবে পরিচিত। Complete combustion-এ ধোঁয়া হয় না। এছাড়া জ্বালানী ও পরিবেশভেদে লাল ও সাদা শিখাও তৈরি হতে পারে। এখানে যথাক্রমে প্রায় ৫০০ ও ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন হতে পারে। আবার কখনো কখনো জ্বালানী কঠিন হলে শিখা ছাড়াও জ্বলে, যেমন, সিগারেটের আগুন। সেক্ষেত্রে কার্বন মনোক্সাইড বেশি উৎপন্ন হয়।[১] অতএব, আগুনের শিখা হতে পারে নীল, লাল, কমলা, হলুদ, সাদা রং এর। এটা নির্ভর করে তাপমাত্রা ও কি পোড়ানো হচ্ছে তার উপর। এটা হচ্ছে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল।[২] আপনি কমলা রঙ দেখতে পারবেন শিখায় Na+ এর কারনে। নীল দেখতে পারবেন C আর H পোড়ানোর ফলে, লাল দেখতে পারবেন Li+ আর সবুজ Cu++ এর ফলে ।