Nishat Tasnim-
শিশুর পেটে কৃমি সংক্রমণ নিয়ে রয়েছে অনেক বিভ্রান্তি। যেমন বাচ্চার দাঁত কটমট করলে বা অতিরিক্ত লালা ঝরলে অনেকে মনে করেন কৃমি হয়েছে। পাঁচ থেকে সাত মাস বয়সে কিন্তু বাচ্চাদের একটু বেশিই লালা ঝরতে থাকে। এর সঙ্গে কৃমির সম্পর্ক নেই। অনেকের ধারণা, বেশি মিষ্টি খেলে কৃমি হয়। এ ধারণাও ভুল। মিষ্টি বা চিনি নয়, কৃমি সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে যেকোনো দূষিত খাবারের। গরমে যে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না, এটাও ঠিক নয়।
তবে বিভ্রান্তি যা-ই থাকুক, বাংলাদেশে শিশুদের একটা বড় অংশ কৃমি সংক্রমণের শিকার। কৃমি বাচ্চাদের তীব্র স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। তাই শিশুদের কৃমিমুক্ত রাখতে মা-বাবার সব সময়ই সচেতন থাকা উচিত।
খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে, খাবার আগে ও মলমূত্র ত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। খুব ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিবার খাবার ধরার আগে হাত ধুতে হবে, এটা শেখান।
হাত ও পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে।
শিশুদের মলমূত্র পরিষ্কারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
রান্নার পাতিল, থালাবাসন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
মাংস, বিশেষ করে গরুর মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ করতে হবে
টয়লেটে যাওয়ার সময় এবং বাড়ির বাইরে পায়ে স্যান্ডেল পরার অভ্যাস করাতে হবে
রাস্তার অপরিচ্ছন্ন ও দূষিত খোলা খাবার খেতে শিশুকে সব সময়ই নিরুৎসাহিত করবেন।
গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।
বাড়ির সবার একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত। বেশির ভাগ কৃমির ওষুধ দুই বছরের বেশি বাচ্চাদের জন্য হয়। তবে আজকাল এক বছর বা তারও কম বয়সের শিশুদের খাওয়ানো যায়, এমন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য খুব ছোট শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।