Loa Loa একধরনের আফ্রিকান পরজীবী, যা আফ্রিকান আই ওয়ার্ম হিসেবে অধিক পরিচিত। ফিতের মতো দেখতে। গায়ের বর্ণ সাদা। প্রাণীদেহে পরজীবী হিসেবে বসবাসকারী এমন দীর্ঘ কৃমি সচরাচর দেখা যায় না। নামে চোখের কৃমি বলা হলেও, এর বিচরণক্ষেত্র অনেক। চোখ, মস্তিষ্ক, ফুসফুস, চামড়ার নিচে চর্বির স্তর, পুরুষের অণ্ডকোষসহ আরও অনেক সংবেদনশীল স্থানে এটা ঘুরে বেড়ায়। এ সময় প্রচণ্ড প্রদাহ সৃষ্টি করে। আফ্রিকার প্রায় ১ কোটি মানুষ এই কৃমির সংক্রমণের শিকার এবং ২ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ আসন্ন সংক্রমণের তালিকায় রয়েছে।
লোয়া লোয়া কৃমির সংক্রমণকে বলা হয় লোয়াসিস। ক্রিসপস গোত্রের ডিয়ার ফ্লাই ও ম্যাংগো ফ্লাই- এই দু’ধরনের মাছি এই কৃমির বাহক। এই দুই মাছির কামড়ে কৃমি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। মানবদেহে এরা খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে এবং এরা এত পরিমাণে নতুন কৃমির জন্ম দেয় যে দেহের সেসব স্থানে অনেক সময় ফুলে যায় বা ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়।
১৭৭০ সালে সর্বপ্রথম এই কৃমির সংক্রমণ সম্পর্কে জানা যায়। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে একটি জাহাজে করে কিছু ক্রীতদাস আমেরিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং এই জাহাজে কর্মরত একজন ফরাসী সার্জন সর্বপ্রথম এই সংক্রমণটি সনাক্ত করেন।
তথ্যসূত্রঃ কালের কন্ঠ