আপনি কয়েকজন মেয়েকে এই প্রশ্নটা করবেন। দেখবেন তাদের অধিকাংশেই উত্তর দিবে, এটা ভয়ের থেকেই বেশি 'গা' ঘিনঘিন করার ব্যাপারে। তাই, তেলাপোকা দেখে মেয়েরা ভয় পায় ।
তেলাপোকা বাথরুম খুব পছন্দ করে। তো যে প্রাণী বাথরুম ঘুরে এসেছে সে আপনার শরীরের পদাঙ্ক রাখুক সেটা কেউই চাইবে না। তাছাড়া তেলাপোকার সাথে বিচ্ছিরি গন্ধ আছে এবং এরা শরীরে পড়ার সাথে সাথে ফুড়ুৎ করে উড়াল মারে যা এক্সট্রা থ্রিল জন্মায়।
আসলে তেলাপোকার পায়ে ধারালো খাঁজকাটা কিছু অংশ থাকে। যার কারনে দেয়াল বা কোথাও এরা বসে থাকতে পারে। সেই খাঁজকাটা পা নিয়ে হঠা গায়ে বসলে শরীরে 'বিঁধে যায়' কিছুটা। এটাই প্রধান রহস্য।
আবার অনেকের মতে এটা মেয়েদের একটা আচরনগত সমস্যা। মাকড়সা বা তেলাপোকা দেখে মেয়েরা আসলে ভয় পায় না অসস্তি বোধ করে এবং তাই চিৎকার চেচামেচি করে (এটাই এদের স্বাভাবিকতা)।
বাড়ি মাথায় তুলে ফেলে যাতে কোন পুরুষ এসে তাকে এই অপভ্রংসের হাত থেকে বাঁচায়। এটা প্রায় সব মেয়েদেরই কমন প্রবলেম। এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে - তারা যেকোন ভয়কে তুচ্ছ করার চেষ্টা করে এবং সবার কাছে নিজদের সাহসী করে রাখারও চেষ্টা করে কিন্তু সাধারন এই মাকড়সা, তেলাপোকা কিংবা টিকটিকি দেখে যে তারা ভয় পায় সেটা কখনই লুকাবার চেষ্টা করে না।
তেলাপোকা ( আরশোলা ) দেখে মানুষ কেন ভয় পায়, এ নিয়েই গবেষণা করেছেন জেফরি লকহুড। কোনও পতঙ্গকে মানুষ কখন ও কেন ভয় পায়, সেটাই তাঁর গবেষণার বিষয়।
সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, সাধারণত রোগের কারণেই এই ভয় আসে। শিশুরা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পতঙ্গ দেখে। কিন্তু বড় হলেও যখন এই বোধ জন্মায় যে এদের থেকে রোগ আসতে পারে, তখনই সবাই দূরে সরে যায়। সেই কারণে তেলাপোকাকে ভয় পাওয়ারও যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
কারণ- আরশোলার থেকে অ্যালার্জি হয়। এরা শ্বাসকষ্টের জীবাণুও বহন করে। কিন্তু সে রোগ তো অন্য অনেক কিছু থেকেই হয়। তার মধ্যে মশা থেকে হয় সবথেকে বেশি। কই মশা দেখে তো কেউ ভয় অত ভয় পান না। এরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষক।
প্রায় ৪৬০০ প্রজাতির তেলাপোকা রয়েছে পৃথিবীতে। ডাইনোসরের সময় থেকে বাস করছে এরা। সাধারণত অন্ধকার জায়গায় লুকিয়ে থাকে এরা আর হঠাৎ বেরিয়ে আসে। তাতেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। এছাড়া আরশোলা দেখতে তৈলাক্ত হয়, যা অত্যন্ত ঘৃণ্য লাগে। এছাড়া তেলাপোকার গতি অত্যন্ত বেশি। ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৩ মাইল। এছাড়া খাবারেও বসে তেলাপোকা। তা থেকে রোগ ছড়ায়, এটা জেনেও অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সংগৃহীত