Jaedul Tawsun-সিনেমার ভিজুয়াল এফেক্টস এর জন্য গ্রীন স্ক্রীণ হচ্ছে সবচেয়ে বহুল ব্যাবহৃত ক্রোমা কিইং টেকনিক।
প্রথমে বলে নিচ্ছি, অন্য রঙ ব্যাবহার করা হয়। সেটি হচ্ছে ব্লু স্ক্রীণ। কখনো কখনো সিনেমার দৃশ্য ধারণ করতে ব্লু স্ক্রীণ ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু এটির ব্যাবহার খুবই কম হয়।
গ্রীন স্ক্রীণ সবচাইতে বেশী ব্যাবহৃত হওয়ার কারণ হচ্ছে ক্যামেরা সেন্সরে থাকা কালার ফিল্টার। ক্যামেরার সেন্সরে অসংখ্য ছোট ছোট ফটো রিসেপ্টর থাকে যা শুধুমাত্র ব্রাইটনেস ভ্যালু ডিটেক্ট করার মাধ্যমে ছবি ধারণ করে। কালার সনাক্ত করার জন্য এই রিসেপ্টরগুলোর ওপরে RGB বা রেড, গ্রীন এবং ব্লু এই তিন রঙ সনাক্ত করার জন্য ফিল্টার এর লেয়ার থাকে। এই মৌলিক তিন রঙ এর ভ্যালু ডিটেক্ট করে সেই ভ্যালুগুলোর সমন্বয়ে কালার প্রডিউস করে ক্যামেরার সেন্সর।
আর এই ফিল্টার গুলোর মাঝে গ্রীণ ফিল্টার থাকে ৫০ শতাংশ, ব্লু ফিল্টার থাকে ২৫ শতাংশ, রেড ফিল্টার থাকে ২৫ শতাংশ। বুঝতেই পারছেন যে গ্রীণ ফিল্টার অন্য রঙ এর চাইতে দ্বিগুণ হারে উপস্থিত থাকে। তাই ক্যামেরা গ্রীণ কালার খুব ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারে। ক্যামেরার সেন্সরের এই গঠনের পেছনে আমাদের চোখের সেন্সর প্রভাব আছে। আমাদের চোখেও সবুজ রঙ শনাক্ত করার সেন্সর দ্বিগুণ হারে বিদ্যমান। তাই ক্যামেরার সেন্সর এভাবে তৈরী।
এডিটিং সফটওয়ারগুলোতে গ্রীন স্ক্রীণ রিমুভ করা সহজ। এর জন্য বিল্ট ইন টুলস দেয়া থাকে। সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ডের গ্রীন রিমুভ করে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড বসিয়ে নেয়া যায়। তাছাড়া অন্য কোন কালার যদি ব্যাবহার হতো, যেমন অরেঞ্জ, রেড, পিংক তাহলে হিতে বিপরীত হতো। কারণ, আমাদের স্কিন কালার সব সময় অরেঞ্জ, রেড অথবা পিংক এর কোনো একটা শেডে পড়ে। তখন সেই কালার টা রিমুভ করতে গেলে স্কিন এর কিছু অংশ রিমুভ হয়ে যাবে। তাই সেসব কালার ব্যাবহার করা সম্ভব নয়।
ব্লু স্ক্রীণ ব্যাবহার করা বেশী ব্যায়বহুল কারণ ব্লু স্ক্রীন এর ক্ষেত্রে বেশী লাইটিং করা দরকার হয়। গ্রীন অপেক্ষাকৃত ব্রাইট বলে লাইটিং কস্ট কম হয়। কিছু ক্ষেত্রে গ্রীণ স্ক্রীণে লাইট বাউন্স করে সাবজেক্ট এর কালারে প্রভাব ফেলে সেক্ষত্রে খবু প্রয়োজন হলে ব্লু স্ক্রীণ ব্যাবহার হয়।