সাইকোসিসের বৈশিষ্ট্য : ডিলুশান এবং হ্যালুসিনেশন সাইকোসিসের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। নিজের কোনো রোগ আছে, ব্যাপারটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্বীকার করেন বা অনুভব করতে পারেন না। রোগ অস্বীকার করার এই প্রবণতাকে বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়, 'লস্ট ইনসাইট' বা ইনসাইট লস্ট। এ ছাড়া চিন্তায় বা আচরণে চোখে পড়ার মতো অস্বাভাবিকতাও লক্ষ করা যায়। 'কেউ আমার ক্ষতি করবে বা মেরে ফেলবে', কারণ ছাড়াই এমন চিন্তা প্রায়ই করতে দেখা যায়। যেকোনো ধরনের অনুভূতির প্রকাশ কিংবা অনুভবেও চরম অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে। চারদিকের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে না পারা বা যখন তখন রেগে যাওয়াও এ রোগের লক্ষণ।
সাইকোসিসের অন্তর্ভুক্ত রোগ : সিজোফ্রেনিয়া, বাই-পোলার মুড ডিজঅর্ডার, সাইকোটিক ডিপ্রেশন, শরীরের কারণে সাইকোসিস (অরগানিক সাইকোসিস), নেশার কারণে সাইকোসিস (সাবস্টেন্স রিলেটেড সাইকোসিস), ডিমেনশিয়া, ব্রিফ সাইকোটিক ডিজঅর্ডারসহ বেশ কিছু রোগ সাইকোসিসের অন্তর্ভুক্ত মানসিক রোগের মধ্যে পড়বে।
সতর্কতা : বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাইকোসিসের অন্তর্ভুক্ত রোগগুলোকে জিন কিংবা অন্য কোনো আছর বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। কবিরাজরা দৃষ্টি, নজর বা উপরি দোষ হয়েছে বলে মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করে চলে।
চিকিৎসা : চিকিৎসা শুরু করার প্রথমেই সাইকোসিসের কারণ জেনে নেওয়া জরুরি। সরাসরি মানসিক রোগের জন্য, কিংবা অন্য যেকোনো কারণেই হোক না কেন অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ দরকারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সাধারণত অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ দিয়ে এসবের চিকিৎসা করা হয়। ওষুধের পাশাপাশি কারণ দূর করাও অত্যন্ত জরুরি। আজকাল সাইকোসিসের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়, একেকজনের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেসব ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র : কালের কণ্ঠ ৷