মানুষের সাথে সকল প্রাণীদের মৌলিক মিল একই। কাম, খিদা, ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা, সন্তান জন্ম দেওয়া, বংশ রক্ষা করা, মিলে মিশে থাকা, ভালবাসা, ঘুম, পানি পান ইত্যাদি।
সকল প্রাণীদের মধ্যে কাছাকাছি বৈশিষ্ট বিদ্যামান। আবেগ, প্রেম-ভালবাসা, প্রতিরক্ষা সহ সব কিছু। নানা স্থান, ইকোলজি, তাপমাত্রা, বেড়ে উঠা, বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান থেকে শুরু হয়েছে পার্থক্য।
এই পৃথিবী মূলত সবার জন্য। আমরা পিঁপড়া, ইদুর এদের সবার সহযোগী। মানুষ বুদ্ধিভিত্তিক ভাবে এতো এগিয়েছে যে, অস্ত্র, ক্ষমতা দিয়ে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। এর বিজ্ঞান ছিল আশীর্বাদ হিসাবে, এখন বিজ্ঞান চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্য গ্রহের প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরও নিয়ন্ত্রণে আনার।
এখন এদের পার্থক্য করবো কীভাবে? মূলত এদের পার্থক্য করা হয়েছে বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান দিয়ে। কে কোন অঞ্চলে বড় হয়েছে তার উপর। আমাদের সুন্দরবনেও বাঘ আছে, এরা মূলত একটা নোনা জলের ম্যানগ্রোভ বনে থাকে আবার নেপাল-থাইল্যান্ডের দিকে সারা বছর শীতের মধ্যে থাকাও বাঘ আছে।
আফ্রিকার মানুষ আর আমাদের মানুষের মধ্যে পার্থক্য কেমন? অনেক খানে পার্থক্য, কিন্তু কান্না-হাসি, আনন্দ-দুক্ষ, কাম-যৌনতা, ঝগড়া একই
। মানুষের সাথে সকল প্রাণীদের মৌলিক মিল একই। বিশাল মিল। কাম, খিদা, ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা, সন্তান জন্ম দেওয়া, বংশ রক্ষা করা, মিলে মিশে থাকা, ভালবাসা, ঘুম, পানি পান ইত্যাদি।
একটা উদাহরণ দেই, সাপ চোখে দেখে না, চোখের কাছে থার্মাল সেন্সর দিয়ে শিকার করে। সাপের বিষ আছে, সাপ সেই বিষ দিয়ে শিকার করে। সাপের বিষ মানুষকে কামড়ানোর জন্য না। তাহলে সাপ মানুষকে কামড়াইয় কেনো? কারন, মানুষ যখন সাপের কাছকাছি ভুলে চলে আসে সাপ তো দেখে না, মানুষও দেখে না, তখন সাপ তার থার্মাল সেন্সর দিয়ে দেখে মানুষকে শিকার বা শত্রু ভাবে আক্রমণ করে বসে।
এবার, মানুষের ক্ষেত্রে হিসাব করুন, কেউ মানুষকে মানুষকে মারতে আসলে মানুষ আগে বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান দিয়ে বিবেচনা করে, হিসাব করে তারপর মারামারি করে। সে কিন্তু সাপের মতো কামড় দিয়ে বসে না।
তবে কিছু মানুষ আছে, সাপের মতো। কিছু বুঝে উঠার আগেই তাঁরা আপনাকে আক্রমণ করে বসবে। এই আক্রমণ মূলত তাদের বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান নিচে থাকার কারণে।
এখন বুঝুন, পার্থক্য কোথায়! মানুষ আর অন্যান্য পশু ও প্রানীদের মধ্যে জীনগত অনেক মিল আছে। যেমন, ইদুরকে নানা বিজ্ঞানাগারে গিণিপিগ হিসাবে ব্যবহার করা হয় মানুষের নানা টিকা আর জিনেটিক সাদৃশ্য মিলাতে।
মিল অনেক তবে, বাস্তুসংস্থানের কারণে ঘটেছে নানা পরিবর্তন।
পৃথিবী মূলত সবার জন্য। আমরা মানুষরা বুদ্ধি ভিত্তিক জায়গায় আতো উন্নতি করেছি যে, এই গ্রহের সবাইকে হারিয়ে দিয়েছি। সবাই এখন মানুষের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের মস্তিকের উন্নতির ফলে আমরা খাদ্য শৃঙ্খলে সবার উপরে, এবং সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করি এবং ভাবি পৃথিবী শুধু আমাদের জন্য। মোটেও না, পৃথিবী সবার জন্য। পিঁপড়া যেমন পৃথিবীর মালিকানা দাবি করতে পারে এর প্রাণি হিসাবে, আমরা তাই।
অতি বুদ্ধিমান মানুষ নিজের বুদ্ধি, অস্ত্র, ক্ষমতার জোরে পুরো পৃথিবীর বাস্তুসংস্থান নষ্ট করে দিচ্ছে এবং চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিভাবে এই পৃথিবীর বাঁশ মারা যায়।
আবার বাড়তি হিসাবে এখন মহাকাশে প্রাণী খুঁজছে।