মানুষের কোন আচরণটি অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+22 টি ভোট
3,892 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (105,570 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর
মানুষের সাথে সকল প্রাণীদের মৌলিক মিল একই। কাম, খিদা, ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা, সন্তান জন্ম দেওয়া, বংশ রক্ষা করা, মিলে মিশে থাকা, ভালবাসা, ঘুম, পানি পান ইত্যাদি।

 সকল প্রাণীদের মধ্যে কাছাকাছি বৈশিষ্ট বিদ্যামান। আবেগ, প্রেম-ভালবাসা, প্রতিরক্ষা সহ সব কিছু। নানা স্থান, ইকোলজি, তাপমাত্রা, বেড়ে উঠা, বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান থেকে শুরু হয়েছে পার্থক্য।

 এই পৃথিবী মূলত সবার জন্য। আমরা পিঁপড়া, ইদুর এদের সবার সহযোগী। মানুষ বুদ্ধিভিত্তিক ভাবে এতো এগিয়েছে যে, অস্ত্র, ক্ষমতা দিয়ে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। এর বিজ্ঞান ছিল আশীর্বাদ হিসাবে, এখন বিজ্ঞান চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্য গ্রহের প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরও নিয়ন্ত্রণে আনার।

 এখন এদের পার্থক্য করবো কীভাবে? মূলত এদের পার্থক্য করা হয়েছে বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান দিয়ে। কে কোন অঞ্চলে বড় হয়েছে তার উপর। আমাদের সুন্দরবনেও বাঘ আছে, এরা মূলত একটা নোনা জলের ম্যানগ্রোভ বনে থাকে আবার নেপাল-থাইল্যান্ডের দিকে সারা বছর শীতের মধ্যে থাকাও বাঘ আছে।

 আফ্রিকার মানুষ আর আমাদের মানুষের মধ্যে পার্থক্য কেমন? অনেক খানে পার্থক্য, কিন্তু কান্না-হাসি, আনন্দ-দুক্ষ, কাম-যৌনতা, ঝগড়া একই

। মানুষের সাথে সকল প্রাণীদের মৌলিক মিল একই। বিশাল মিল। কাম, খিদা, ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা, সন্তান জন্ম দেওয়া, বংশ রক্ষা করা, মিলে মিশে থাকা, ভালবাসা, ঘুম, পানি পান ইত্যাদি।

 একটা উদাহরণ দেই, সাপ চোখে দেখে না, চোখের কাছে থার্মাল সেন্সর দিয়ে শিকার করে। সাপের বিষ আছে, সাপ সেই বিষ দিয়ে শিকার করে। সাপের বিষ মানুষকে কামড়ানোর জন্য না। তাহলে সাপ মানুষকে কামড়াইয় কেনো? কারন, মানুষ যখন সাপের কাছকাছি ভুলে চলে আসে সাপ তো দেখে না, মানুষও দেখে না, তখন সাপ তার থার্মাল সেন্সর দিয়ে দেখে মানুষকে শিকার বা শত্রু ভাবে আক্রমণ করে বসে।

এবার, মানুষের ক্ষেত্রে হিসাব করুন, কেউ মানুষকে মানুষকে মারতে আসলে মানুষ আগে বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান দিয়ে বিবেচনা করে, হিসাব করে তারপর মারামারি করে। সে কিন্তু সাপের মতো কামড় দিয়ে বসে না।

 তবে কিছু মানুষ আছে, সাপের মতো। কিছু বুঝে উঠার আগেই তাঁরা আপনাকে আক্রমণ করে বসবে। এই আক্রমণ মূলত তাদের বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান নিচে থাকার কারণে।

 এখন বুঝুন, পার্থক্য কোথায়! মানুষ আর অন্যান্য পশু ও প্রানীদের মধ্যে জীনগত অনেক মিল আছে। যেমন, ইদুরকে নানা বিজ্ঞানাগারে গিণিপিগ হিসাবে ব্যবহার করা হয় মানুষের নানা টিকা আর জিনেটিক সাদৃশ্য মিলাতে।  

মিল অনেক তবে, বাস্তুসংস্থানের কারণে ঘটেছে নানা পরিবর্তন।

 পৃথিবী মূলত সবার জন্য। আমরা মানুষরা বুদ্ধি ভিত্তিক জায়গায় আতো উন্নতি করেছি যে, এই গ্রহের সবাইকে হারিয়ে দিয়েছি। সবাই এখন মানুষের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের মস্তিকের উন্নতির ফলে আমরা খাদ্য শৃঙ্খলে সবার উপরে, এবং সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করি এবং ভাবি পৃথিবী শুধু আমাদের জন্য। মোটেও না, পৃথিবী সবার জন্য। পিঁপড়া যেমন পৃথিবীর মালিকানা দাবি করতে পারে এর প্রাণি হিসাবে, আমরা তাই।

 অতি বুদ্ধিমান মানুষ নিজের বুদ্ধি, অস্ত্র, ক্ষমতার জোরে পুরো পৃথিবীর বাস্তুসংস্থান নষ্ট করে দিচ্ছে এবং চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিভাবে এই পৃথিবীর বাঁশ মারা যায়।

 আবার বাড়তি হিসাবে এখন মহাকাশে প্রাণী খুঁজছে।
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
+1
প্রাণী তো বহূ ধরণের আছে। অদৃশ্য অনুজীব থেকে শুরু করে নীল তিমি পর্যন্ত সবই প্রাণীর আওতাভুক্ত। অত ডিটেইলসে গেলে মানুষের সাথে তুলনা করা যাবেনা। আমরা সাধারণত তুলনা করি দুটি প্রায় সমকক্ষ জিনিসের সাথে। যেমন কৃষ্ণ দ্রুত দৌড়ায়, নাকি রহিম দ্রুত দৌড়ায়। এটা একটা তুলনা হতে পারে। তাই বলে, বিল গেটসের প্রাইভেট বিমানের সংখ্যা বেশী, নাকি আমার, এরকম তুলনা হয়ণা। কারণ আমর কোনো বিমানই নেই। বিমান তো দূরের কথা, একটা প্রাইভেট কার যদি থাকতো তবু মনকে নাহয় সান্তনা দিতাম। কিন্তু যখন আমার একটা সাইকেলও নেই, তখন বিল গেটসের সাথে তুলনা করাটা সত্যিই বেমানান। যেহেতু আপনার প্রশ্নটি প্রাণীজগতকে নির্দেশ করছে, সেহেতু ওয়াইড ভ্যারাইটি নিয়ে কথা বলতে গেলে এমন এমন বৈশিষ্ট্যা সামনে আসবে যা মানুষের সাথে তুলনীয় নয়। যেমন ধরুণ হাইড্রা নামের এক ক্ষুদ্র প্রাণী আছে, অনুজীব বলতে পারেন, প্রাণ আছে, এই অর্থে প্রাণী, এই প্রাণীটির নাম রাখা হয়েছে গ্রীক মিথোলোজির দৈত্য হাইড্রার নামে। তার শরীরের কোনো অংশ বিচ্ছিন্ন করলে সে আবার সেই অঙ্গ তৈরী করে নিতে পারে। এদের আচরণ তো আর মানুষের সাথে তুলনীয় নয়। তবে আপনি যদি চেনা জানা কিছু প্রাণীর কথা বলেন, যেমন সচরাচর আমাদের বাসাবাড়িতে থাকে, কাক, বিড়াল, কবুতর, কুকুর, ইত্যাদি, তাহলে বলা যায়, ক্ষুধা এবং যৌনতা। মোরগগুলো দেখবেন মুরগীর প্রতি যৌনতা অনুভব করে। মানুষও করে নারীরা পুরুষদের প্রতি। আবার ধরুন ক্ষুধা। ক্ষুধা লাগলে এক প্রাণী অন্য প্রাণী ধরে খায়। সাঁপে ব্যাঙ ধরে খায়। মানুষে খায় ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি।


মানুষ যখন খুবই বিপদে পড়ে তখন মানুষে মানুষ ধরেও খায়। মানুষের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো টিকে থাকা। সারভাইবালের জন্য মানুষ নিজের সঙ্গীকে খেতেও দ্বিধা করেনা। সভ্য সমাজে খাদ্য মজুদ থাকে বলে কাউকে ক্ষুধার চরমে পৌছাতে হয়না। তাই সভ্য মানুষরা একে অন্যকে খায়না। তবে মরুভূমি বা জঙ্গলে আটকে গেলে শোনা যায়, মানুষেও মানুষ খায়, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য। বিজ্ঞানীরা একবার মানুষের ভালবাসা প্রমাণের জন্য একটি বানরকে নিলেন তার শিশু বাচ্চা সহ। তাকে একটি লোহার খাচার ভিতরে আটকে খাচার তলায় যে লোহাটির উপরে বানরদুটি দাড়িয়ে ছিলো, সেখানে তাপ দিতে শুরু করলো। শুরুতে দেখা গেলো মা বানরটি তাপ থেকে তার সন্তানকে বাচানোর জন্য কোলে তুলে নিলো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত তাপ বাড়িয়েই যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে যখন মা বানরটি আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলোনা, তখন সে তার সন্তানটিকে কোল থেকে নামিয়ে পায়ের নীচে রেখে তার উপরে দাড়িয়ে নিজেকে তাপ থেকে রক্ষা করলেন।


প্রতিটি জীবই নিজেকে বাচানোর একটা তাড়না অনুভব করে। বাংলায় প্রবাদ আছে, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। আরেকটা প্রবাদে বলে, চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে মানুষ আত্মহত্যা কেন করে ? প্রেমিক প্রেমিকা গলায় দড়ি কেন দেয়। বিষ কেন খায় ? এসব প্রশ্নেরও জবাব আছে। তবে তা এই প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিক নয় বলে ওদিকে যাচ্ছিনা। তবে ছোট্ট করে বলে রাখি, বৃটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের কথা, সারভাইবাল ফর দা ফিটেস্ট। এ পৃথিবীতে সেই টিকতে পারে, যে সবদিক থেকে ফিট হতে পারে। কেউ যদি বলে তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবোনা, অথবা অমুক শখের জিনিসটা না পেলে আমি বাঁচবোনা, এসব লোকেরা সত্যিই নিজেকে ফিট করতে পারেনা পরিস্থিতির সাথে, তাই তারা বিদায় নেয়। আর যারা ফিট করে নেয় নিজেকে, তারা টিকে থাকে। অর্থাৎ, মানুষের এবং সেইসাথে অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে আরেকটা তাড়না হলো নিজেকে ফিট করে নেয়া। প্রতিনিয়ত সে নিজের ভার্সনকে আপডেট করতে থাকে। অর্থাৎ জীবের কোনো মৃত্যু নেই। দেহের মৃত্যূ হয়, কিন্তু জীবের চক্র চলতে থাকে। শ্রীমদ্ভগবদ গীতায় ভগবান বলেছেন, নায়ং হন্তি ন হন্যতে। অর্থঃ আত্মার কোনো মৃত্যূ নেই। তবে ফকীর লালন সাইজি তার লালন গীতিসমগ্র - Apps on Google Play তে উল্লেখ করে বলেছেনঃ


সুতরাং মানুষের যে কয়টি আচরণ অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় বলে এতক্ষণ বর্ণনা করলাম, তার মধ্যে সবচে গুরুত্বপূর্ণ হলো, মানুষ বাঁচতে চায়, এবং বংশবৃদ্ধি করতে চায়। সে জানে যে সে এই নশ্বর দেহ নিয়ে ষাট-সত্তুর বছরের অতিথি হয়ে এসেছে, তাই সে যাওয়ার সময় তার কপি রেখে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাতে তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে না যায়। একেই বলে বংশের প্রদীপ। প্রতিটি প্রাণীই বংশপ্রদীপ জ্বলাতে উদগ্রীব থাকে।

লেখক :  Nasir Uddin Vuiya
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+27 টি ভোট
1 উত্তর 258 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 455 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 198 বার দেখা হয়েছে
+15 টি ভোট
1 উত্তর 241 বার দেখা হয়েছে

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,104 জন সদস্য

98 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 95 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. DenaIvey2490

    100 পয়েন্ট

  3. DomenicHuonD

    100 পয়েন্ট

  4. AntoineWhith

    100 পয়েন্ট

  5. gi8s4com

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...