Abrar Islam Ador
বেশ যন্ত্রণাদায়ক একটি বিষয় হলেও মাথা ব্যথা কিন্তু খুব সাধারণ একটি সমস্যা। প্রত্যেকে জীবনের কোনো না কোনো সময় মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হন। এটি আসলে কোনো রোগ নয়, একটি উপসর্গ।
অনেক কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। থা ব্যথার নিৰ্দিষ্ট কারণ নেই। গবেষণা মতে, প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ শুধুমাত্র চিন্তা বা দুঃশ্চিন্তার কারণে মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন।
মাথা ব্যথার সাধারণ কিছু কারণ হলো—
*সাইনাস
*ক্লান্তি
*পানিশূন্যতা
*পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
*দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ
*অতিরিক্ত ব্যথানাশক ব্যবহার বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
*সর্দি-কাশি
*মাথায় আঘাত, টিউমার
*ইনফেকশন
*দাঁতের রোগ
*খুব ঠাণ্ডা পানীয় বা খাবার দ্রুত খাওয়া ইত্যাদি।
*অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান
আর এই উপরোক্ত কোনো কারণ যদি আপনার প্রতি দিনের সঙ্গী হয়ে যায় তাহলে এই মাথা ব্যথা আপনার নিত্যদিনের সাথী হয়ে যাবে এবং দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিবে।
দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা থেকে ওষুধ ছাড়া প্রতিকার পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে.
যেমনঃ
আকুপ্রেসার : ঘাড় ও মাথায় প্রেসার পয়েণ্টে আকুপ্রেসার থেরাপি প্রয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যেই মাথা ব্যথা কমে যায়।
গোসল : হালকা গরম পানিতে গোসল করলে মাথা ব্যথা কমে।
পানি পান : প্রতিনিয়ত পানি পান করতে হবে. পানি পান করলে দেহের আর্দ্র ভাবে কমে যায় এবং দেহ শীতল হয়ে উঠে আর মাথা ব্যথা কমে যায়.
লবঙ্গ : কিছু লবঙ্গ তাওয়ায় গরম করে তা একটি রুমালে মুড়ে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘ্রাণ নিলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
পুদিনাপাতা : পুদিনাপাতায় রয়েছে ম্যানথল ও ম্যানথন, যা মাথা ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর।
আপেল : এক টুকরো আপেলের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলে মাথা ব্যথা কমে।
আদা : সমপরিমাণ আদা ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বা একটু টাটকা আদা কয়েকবার চিবিয়ে খেলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
বরফ : বরফের প্যাক ঘাড়ে বা মাথায় কিছুক্ষণ ধরে রাখলে মাথা ব্যথা, বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
হাসি-খুশি মন : মাথাব্যথার কার্যকর উপায় হলো মনকে ইতিবাচক এবং পজিটিভ দিকে ডাইভার্ট করা। এতেও মাথা ব্যথা দূর হয়। সবসময় হাসিখুশি থাকলে মন ফুরফুরা থাকলে মাথা ব্যথা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়.
সপ্তাহে ৫-৬ দিন মাথা ব্যথা হলেই সেটা দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা বলে ধরা হয়. আর সেই ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ভালো সুফল পাওয়া যায়.