অ্যাজমা অর্থ দ্রুত নিঃশ্বাস নেয়া। শীতকালে এ রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়।
* বিছানা ও বালিশ প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে নিতে হবে বা বালিশে বিশেষ ধরনের কভার লাগিয়ে নিতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্যও হাঁপানি রোগীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে পরিশ্রমের ঝুঁকি নেয়া উচিত।
* হালকা খাওয়া-দাওয়া করা উচিত যাতে হজমের কোনো অসুবিধা না হয়। কারণ বদহজম এবং অম্বল থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যে খাবারে অ্যালার্জি আছে তা বর্জন করে চলতে হবে।
* প্রয়োজনে স্থান ও পেশা পরিবর্তন করতে হবে। শুধু নিয়ম মেনে চললেই এই ধরনের রোগীরা শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভালো থাকেন।
* প্রয়োজনমতো ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন। সতর্ক জীবনযাপন ও চিকিৎসার মাধ্যমে শতকরা ৮০ ভাগ হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
* খুব বেশি শ্বাসকষ্ট থাকলে নেবুলাইজার নামক যন্ত্রের সাহায্যে রোগীকে হাঁপানির ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে।হাঁপানি রোগীর খাদ্য ও পথ্য
বেশি খাবেন-
* কুসুম গরম খাবার, মৌসুমি ফলমূল, ছাগলের দুধ (তেজপাতা, পুদিনা ও কালোজিরাসহ), আয়োডিনযুক্ত লবণ ও সৈন্ধব লবণ, মধু, স্যুপ, জুস, কালোজিরার তেল, আদা ও পুদিনার চা।
খাবেন না-
মিষ্টি দধি ও মিষ্টান্ন, ফ্রিজের কোমল পানীয়, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা খাবার, ইসুবগুল ও গ্রেবি জাতীয় খাবার, কচুর লতি, তিতা জাতীয় খাবার, পালংশাক ও পুঁইশাক, মাশকলাই, মাটির নিচের সবজি যেমন- গোল আলু, মিষ্টি আলু, শালগম, মূলা, গাজর ইত্যাদি। এছাড়াও ইলিশ মাছ, গরুর গোশত, চিংড়ি মাছ, পাম অয়েল, ডালডা ও ঘি, অধিক আয়রনযুক্ত টিউবওয়েলের পানি।
হাঁপানি রোগীর পোশাক-পরিচ্ছদ
* কটন জাতীয় গরম ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
* সিল্ক, সিনথেটিক, পশমি কাপড় পরিধান না করাই উত্তম।
* পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় শোয়া উচিত।
* বাসস্থান শুষ্ক ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো-বাতাসসম্পন্ন হওয়া উচিত।
ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
মডার্ন হারবাল গ্রুপ, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৯১১৩৮৬৬১৭
Source:
https://www.jugantor.com/todays-paper/news/111881/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F