প্রতিটি ক্রোমোজমে অসংখ্য জিন রয়েছে। জিনগুলো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বংশগতির প্রকৃত বাহক। মানুষের দৈহিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্যাবলি এই জিনের উপর নির্ভরশীল। জিনে দু'ধরনের রাসায়নিক যৌগ থাকে -DNA ও RNA. একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গঠন করার জন্য সব ধরনের রাসায়নিক উপাদান বহন করে DNA. চোখের রঙ, চুল, বুদ্ধি ইত্যাদি নিরূপণ করে DNA. এক জোড়া জিন মানুষের একেক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। মা ও বাবার কোন জিন জোড় বেধেছে তা সম্পূর্ণই সম্ভাব্যতার উপর নির্ভর করে। গ্রেগর জোহান মেন্ডেলের তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রবল জিনের সাথে দুর্বল জিন জোড়া বাধলে ৭৫% প্রবল জিনের ও ২৫% দুর্বল জিনের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়। অর্থাৎ প্রবল ও দুর্বল জিনের বৈশিষ্ট্যের অনুপাত 3:1 . আবার অনেক সময় মা-বাবার থেকে দাদা-দাদী কিংবা নানা-নানীর লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে৷ যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তাকে Phenotype, আর যে বৈশিষ্ট্যটি জিনে অবস্থান করে তাকে Genotype বলে।
ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পাশাপাশি এই জিনগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বৈশিষ্ট্যে হেরফের হলেও পূর্বপুরুষের সাথে ব্যক্তিত্বের মিল অনেক বেশিই থাকে।
ক্রেডিট : মিথিলা ফারজানা মেলোডি