উদ্ভিদের সরল টিস্যু সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+20 টি ভোট
2,458 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (105,570 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (110,330 পয়েন্ট)

যে টিস্যুর কোষগুলো বিভাজনে অক্ষম সে টিস্যুকে স্থায়ী টিস্যু বলে। এ টিস্যুর কোষগুলো পূর্ণভাবে বিকশিত এবং সঠিক আকার-আকৃতিবিশিষ্ট অর্থাৎ এরা আকার-আকৃতি ও বিকাশে স্থায়িত্ব লাভ করেছে, তাই এরা স্থায়ী টিস্যু। বিশেষ অবস্থা ছাড়া এরা আর বিভাজিত হতে পারে না। ভাজক টিস্যু হতে কোষের পূর্ণ বিকাশ লাভের পর বিভাজন ক্ষমতা স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে স্থায়ী টিস্যুর উদ্ভব ঘটে।

স্থায়ী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য: 
 স্থায়ী টিস্যুর কোষগুলো সাধারণত বিভাজনে অক্ষম।
 টিস্যুতে দু’রকম কোষ থাকে- জীবিত ও মৃত।
 জীবিত কোষে সাইটোপ্লাজম স্বাভাবিকের চেয়ে কম।
 মৃত কোষ প্রোটোপ্লাজমবিহীন।
 কোষগুলোর প্রাচীর অপেক্ষাকৃত স্থূল অর্থাৎ বেশ পুরু।
 কোষ গহ্বর অপেক্ষাকৃত বড়।
 নিউক্লিয়াস স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট এবং কোষের এক পাশে অবস্থান করে।
 কোষ প্রাচীরে নানা নকশা দেখা যায়।

স্থায়ী টিস্যুর শ্রেণিবিভাগ:
গঠন ও কাজের ভিত্তিতে স্থায়ী টিস্যু তিন প্রকার; যথা: (১) সরল টিস্যু (২) জটিল টিস্যু এবং (৩) ক্ষরণকারী বা নিঃস্রাবী টিস্যু ।

(১) সরল টিস্যু:
সরল স্থায়ী টিস্যুর সবগুলো কোষ আকার, আকৃতি ও গঠন বৈশিষ্ট্যে একই ধরনের হয়। কোষের আকৃতি ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে সরল টিস্যুকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে; যথা: প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা এবং স্কেলেরেনকাইমা।

প্যারেনকাইমা:
উদ্ভিদদেহের সকল অংশে এদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ টিস্যুর কোষগুলো জীবিত, সমব্যাসীয়, পাতলা প্রাচীরযুক্ত ও প্রোটোপ্লাজমপূর্ণ। এই টিস্যুতে আন্তঃকোষীয় ফাঁক দেখা যায়। কোষপ্রাচীর পাতলা ও সেলুলোজ দিয়ে গঠিত। এসব কোষে যখন ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে তখন তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে। জলজ উদ্ভিদের বড় বড় বায়ুকুঠুরিযুক্ত প্যারেনকাইমাকে এ্যারেনকাইমা বলে।

কাজ: প্যারেনকাইমা টিস্যুর প্রধান কাজ দেহ গঠন করা, খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন করা।

কোলেনকাইমা:
এগুলো বিশেষ ধরনের প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা গঠিত। কোষপ্রাচীরে সেলুলোজ ও পেকটিন জমা হয়ে পুরু হয়। তবে এদের কোষপ্রাচীর অসমভাবে পুরু এবং কোণাগুলো অধিক পুরু হয়। এ টিস্যুর কোষগুলো লম্বাটে ও সজীব। এরা প্রোটোপ্লাজমপূর্ণ কোষ দ্বারা গঠিত। এতে আন্তঃকোষীয় ফাঁক থাকতে পারে। কোষপ্রান্ত চৌকোণাকার, সরু বা তীর্যক হতে পারে। খাদ্য প্রস্তুত ও উদ্ভিদদেহকে দৃঢ়তা প্রদান করা এদের প্রধান কাজ। পাতার শিরা, পত্রবৃন্তে এদের দেখা যায়। কচি ও নমনীয় কান্ড, যেমন কুমড়া ও দন্ডকলসের কান্ডে এ টিস্যু দৃঢ়তা প্রদান করে। এ কোষে যখন ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে তখন এরা খাদ্য প্রস্তুত করে।

স্কেলেরেনকাইমা:
এ টিস্যুর কোষগুলো শক্ত, অনেক লম্বা ও পুরু প্রাচীরবিশিষ্ট হয়। প্রোটোপ্লাজমবিহীন, লিগনিনযুক্ত এবং যান্ত্রিক কাজের জন্য নির্দিষ্ট কোষ দ্বারা গঠিত টিস্যুকে স্কেলেরেনকাইমা টিস্যু বলে। প্রাথমিক অবস্থায় কোষগুলোতে প্রোটোপ্লাজম উপস্থিত থাকলেও খুব তাড়াতাড়ি তা নষ্ট হয়ে মৃত কোষে পরিণত হয়। কোষগুলো প্রধানত দুই ধরনের, যথা- ফাইবার ও স্কেলেরাইড। উদ্ভিদদেহে দৃঢ়তা প্রদান এবং পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করা এর মূল কাজ।

ক. ফাইবার বা তন্তু:
এরা অত্যন্ত দীর্ঘ , পুরু প্রাচীরযুক্ত, শক্ত এবং দুই প্রান্ত সরু। তবে কখনো ভোঁতা হতে পারে। প্রাচীরের গায়ে ছিদ্র থাকে। এ ছিদ্রকে কূপ বলে। অবস্থান ও গঠনের ভিত্তিতে এদের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে, যথা- বাস্ট ফাইবার , সার্ফেস ফাইবার, জাইলেম তন্তু বা কাষ্ঠতন্তু।

খ. স্কেলেরাইড:
এদেরকে স্টোন সেলও বলা হয়। এরা খাটো, সমব্যাসীয়, কখনও লম্বাটে আবার কখনও তারকাকার হতে পারে। এদের গৌণপ্রাচীর খুবই শক্ত, অত্যন্ত পুরু ও লিগনিনযুক্ত। পরিণত স্কেলেরাইড কোষ সাধারণত মৃত থাকে। কোষপ্রাচীর কূপযুক্ত হয়।

নগ্নবীজী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কর্টেক্স, ফল ও বীজত্বকে স্কেলেরাইড টিস্যু দেখা যায়। বহিঃত্বক জাইলেম ও ফ্লোয়েমের সাথে একত্রে পত্রবৃন্তে কোষগুচ্ছরূপে থাকতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 215 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,855 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 349 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 729 বার দেখা হয়েছে
29 ডিসেম্বর 2020 "গণিত" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ram AM (200 পয়েন্ট)

10,774 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,209 জন সদস্য

39 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 38 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. NLNJane63670

    100 পয়েন্ট

  3. SherrillL10

    100 পয়েন্ট

  4. JeffryFoerst

    100 পয়েন্ট

  5. ClaudetteHol

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...