Nishat Tasnim-
চায়ে কাফেইন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা আমাদের স্নায়ু তে একধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং ট্যানিক এসিড থাকে যা স্নায়ুকে সজাগ রাখতে সাহায্য করে যার ফলে চা খেলে আমাদের ঘুম আসে না। তবে বেশি বেশি চা পান করলে সেক্ষেত্রে ক্যাফেইন-এর প্রভাবের প্রতি সহিষ্ণুতা বেড়ে যায় অর্থাৎ মানবদেহে এর প্রতিক্রিয়া কমে আসে।
ক্যাফেইন তেতো স্বাদযুক্ত যা পরিমান মতো গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে আবার মাত্রারিক্ত গ্রহণ করলে অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত চা কফি খেলে শুধু ঘুম চলে যাওয়া বা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণ হবেনা বরং এটি একজনকে দুর্বল ও অস্থির এবং উদ্বিগ্ন করে দিবে, রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে,হৃস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে যা পরবর্তীতে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, বয়স্কদের হারের ক্ষয় করে এবং গর্ভবতীদের এই ক্যাফেইনের বিক্রিয়ার ফলে বদ হজমের সৃষ্টি করে, অতিরিক্ত চা পান করলে আসক্তির সৃষ্টি হয় ইত্যাদি।
অন্যদিকে,চায়ে এন্টিএক্সিডেন্ট থাকায় পরিমান মতো খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমে যায় , ডায়াবেটিকস ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়, বয়স্কদের ভুলে যাওয়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, ইহা ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে,দেহে ক্ষতিকর পুঞ্জীভূত বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন করে যা মাথা ব্যাথা বা মাইগ্রেনের কষ্ট লাঘব করতে যথেষ্ট উপকারী।
মোট কথায়, যাদের ক্যাফেইন টলারেন্স ক্ষমতা কম তারা চা পান করলে তাদের (সন্ধ্যা কিংবা দিনের অন্য কোনো সময়) সহজে ঘুম ধরে না কিন্তু যাদের টলারেন্স ক্ষমতা যথেষ্ট উন্নত তারা ঘুমের আগে চা পান করলেও রাতে স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমিয়ে যাবেন।
চা খেলে ঘুম না আসার কারণ হচ্ছে ক্যাফেইন, কিন্তু চায়ে যদি ক্যাফেইন না থাকে তবে চা খেলেও ঘুম আসে। আবার অনেক সময় চা খেলে নার্ভ শিথিল হয়, সতেজ লাগে, মেজাজ ফুরফুরে হয় যা আমাদের দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে।