হাঁচি আমাদের দেহের একটি প্রোটেক্টিভ রিফ্লেক্স। যখন ধুলোবালি বা ক্ষুদ্র অস্বস্তিকর কণা নাকের ভেতর আটকে যায় তখন ঐ কণার কারণে সৃষ্ট বাঁধা বা অসুবিধা দূর করতে হাঁচি এসে যায়। হাঁচির সময় আমাদের ফুসফুসে অধিক পরিমানে বায়ু প্রবেশ করে।
হাঁচির সময় চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলে ইনভলান্টারি রিফ্লেক্স। চোখের পলক বন্ধ হওয়ার জন্য ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু কাজ করে। এই স্নায়ু মুখমন্ডল নাক চোখ মুখ এবং চোয়ালকে নিয়ন্ত্রণ করে। হাঁচি আসার সময় মস্তিষ্ক আমাদের শরীরকে প্রস্তুত করে নেয় তাই এই স্নায়ুর মাধ্যমে দেহের খাদ্যনালী, পেট ও চোখের পেশি সহ বেশ কিছু পেশিকে সংকুচিত হবার নির্দেশ দেয়। ফলে চোখ বন্ধ হয়ে যায়, পেটের পেশি শক্ত হয়ে যায়, বুকের ছাতির পেশিও টানটান হয়ে যায়। আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন, হাঁচির সময় যে হাওয়া বের হয় তার গতি ঘন্টায় ১০০ মাইল হয়।
এছাড়াও হাঁচির সময় আমাদের দেহ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঝাঁকুনি খায়, ফলে সে সময় চোখে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্যও চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া উপকারী।
হাঁচি চেপে রাখা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে ল্যারিংস এ ক্ষত, স্নায়বিক ক্ষতি, কোমর ও মেরুদণ্ডে ব্যথা, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া, মাসলে টান খাওয়া, মস্তিষ্কের ক্ষতি সহ আরো বহুমুখী বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও হাঁচি চেপে রাখলে হাঁচির মাধ্যমে যে জীবানু বা ধূলিকণা বেরিয়ে যেত, তা বের না হয়ে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানে প্রবেশ করে ও পরবর্তীতে তা থেকে কানে ইনফেকশন ও হতে পারে।