ত্বকের যত্নে প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ ও নিমপাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিম ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে ও ঘামাচি, এলার্জি সহ ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধ করে। নিম সাধারণত ত্বকের এলার্জি সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়। নিম পাতা একটি শক্তিশালী জীবানুনাশক।
অন্যদিকে, কাঁচা হলুদ ডিটক্স হিসেবে আমাদের দেহে কাজ করে। ডিটক্স হলো এমন পদার্থ, যারা দেহ থেকে জৈব টক্সিন গুলো বের করে দেয়। কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
ত্বকের যত্নে হলুদ খুবই কার্যকরী। গোলাপজল ও দুধের সঙ্গে নারীরা হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান, যাতে ত্বক সুন্দর হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু পানি দিয়ে হলুদের পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা উত্তম।
হলুদ নিজেই আলাদাভাবে শক্তিশালী উপাদান। আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যখন আপনি এর সঙ্গে গোলাপজল, দুধ অথবা পানি মেশাবেন। অন্যান্য উপাদানের থেকে পানিই সবচেয়ে ভালো উপাদান, যা হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।
হলুদ মাখানোর পর অনেকক্ষণ মুখে মিশ্রণটা রেখে দেওয়া ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। হলুদের পেস্ট লাগানোর পর ২০ মিনিটের মধ্যে মুখ ধুয়ে ফেলুন। না হলে মুখ কালো হয়ে যাবে।
হলুদ ব্যবহারের পর অনেকেই মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করেন না। এতে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই হলুদ লাগানোর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে তখন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না, এতে হলুদের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যাবে। হলুদ ব্যবহারের পর মুখে কিছু ব্যবহার না করাই ভালো।
হলুদের পেস্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল করবেন, যেন আপনার মুখ ও গলার স্কিন টোন ভিন্ন না হয়। তাই হলুদ ব্যবহারের সময় মুখ, গলা ও কাঁধে সমান ভাবে ব্যবহার করবেন।
তথ্যসূত্র: এনটিভি, প্রিয় ডটকম