ডিরাক সমীকরণের মাধমে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা আর বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের সমন্বয় ঘটে। কিন্তু এই ডিরাক সমীকরণটির এমন কিছু অদ্ভুত সমাধান ছিল, যা সাধারণ কোয়ান্টাম বলবিদ্যার স্রোয়েডিঙ্গারের সমীকরণে ছিল না। যেমন, এই সমীকরণ থেকে জানা যায় যে ঋণাত্মক আধানসম্পন্ন ইলেক্ট্রনের এক জাতভাই আছে – পজিট্রন- যার ভর ইলেক্ট্রনের সমান কিন্তু আধান ধনাত্মক। এধরণের কণা থাকার সম্ভাবনা ডিরাক-এর সমীকরণের একটি বড় সাফল্য। ১৯৩২ সালে কার্ল ডেভিড অ্যান্ডার্সন এই কণাটিকে ক্লাউড চেম্বারে শনাক্ত করেন। কিন্তু, শেষমেশ ডিরাক-এর সমীকরণ যথেষ্ট ছিল না। আলোর গতিবেগের কাছাকাছি ইলেক্ট্রনদের বুঝতে হলে একই তত্ত্বের আওতায় আলোককণা ও তার সাথে ইলেক্ট্রনের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে ধরা প্রয়োজন। এই কাজটি করতে গিয়ে জন্ম হয় কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনামিক্স (quantum electrodynamics)-এর, যাকে পদার্থবিদ্যার জগতে অন্যতম সফল একটি থিওরি বলা চলে !
Wiki:https://en.wikipedia.org/wiki/Quantum_electrodynamics