হার্প (HAARP) - কী?
শুধুই কী একটি সাইন্স প্রজেক্ট নাকি কোন বিধ্বংসী অস্ত্র?
ভেনেজুয়েলার সাবেক রাষ্ট্রপতি
হুগো শ্যাভেজ এর বদৌলতে জানুয়ারি ১২,২০১০ সালে হায়াতির সেই ৭ মাত্রার মারাত্মক ভূমিকম্প পর থেকে "হার্প(HAARP)" এর সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু শুনেছেন কিংবা জেনেছেন।যদিও বেশ কয়েক বছর ধরে মানুষ এর সম্পর্কে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছিল তবে চলতি বছরের তুরস্কের মারাত্মক ভুমিকম্পের পর যেটি পুনরায় সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিল।
হার্প(HAARP):-
যার পূর্ণ রুপ হচ্ছে "উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাক্টিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম(High-frequency Active Auroral Research Program)"।১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্টের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের গেলোকা অঞ্চলে এটিকে স্থাপন করা হয়। এটিকে মূলত তৈরি করা হয়েছিল আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ অধ্যয়ন করার লক্ষ্যে। পৃথিবীতে আয়নোস্ফিয়ারের অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম ও উচ্চ-শক্তি, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিটার এটি।আইআরআই বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের জন্য আয়নোস্ফিয়ারের সীমিত অঞ্চলকে অস্থায়ীভাবে উত্তেজিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। বৈজ্ঞানিক বা ডায়াগনস্টিক যন্ত্রগুলির একটি পরিশীলিত স্যুট যা উত্তেজিত অঞ্চলে ঘটে যাওয়া শারীরিক প্রক্রিয়াগুলি পর্যবেক্ষণ করতে এটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে আইআরআই ব্যবহারের ফলে প্রাপ্ত প্রক্রিয়াগুলির পর্যবেক্ষণ বিজ্ঞানীদের সূর্যের প্রাকৃতিক উদ্দীপনার অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে ঘটে যাওয়া প্রক্রিয়াগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে 'স্যাটেলাইট বীকন' যা ব্যবহার করে আয়নোস্ফেরিক বৈশিষ্ট্য, অরোরার সূক্ষ্ম কাঠামোর দূরবীণ পর্যবেক্ষণ এবং ওজোন স্তরটিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের ডকুমেন্টেশন।নাসা এর গবেষণার সুবিধা কার্যক্রম হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী থেকে ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ এ আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে।
অনেকে মতে এটি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম! যার সাহায্যে নাকি পৃথিবীর যেকোন দেশে কৃত্রিম দুর্যোগ তৈরি করা সক্ষম?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,আসলেই কী?
তবে এর উত্তর হচ্ছে "না"।
হ্যাঁ,নিকোলা টেসলার তৈরি করা প্রটোটাইপ কিছু আবিষ্কার এবং কিছু তত্ত্ব রয়েছে যার সাহায্যে কৃত্রিম ভাবে দুর্যোগ তৈরি করা সম্ভব?তবে এর সাহায্যে নয়।এর কারণ হিসেবে এর বিজ্ঞানীরা বলছেন যে "পৃথিবীর সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হয় ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে আর সেখানে তারা কাজ করছে
আয়নোস্ফেরিক অঞ্চল নিয়ে।
তাছাড়াও কিছু বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদেরা দাবী করেন যে ৩.৬মেগাওয়াট শক্তি খরচ করে ৫.৮ গিগাওয়াট শক্তি উৎপাদন করা পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় অসম্ভব।যদিনা এর সাথে (ERP) যুক্ত থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে (ERP) কী?
ERP - এটি হচ্ছে একটি ফিকশনাল পরিমাপক যেটাকে ব্যবহার করা হয় কোন মেশিন তার গন্তব্য যেতে কত পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হবে তার একটি আনুমানিক সংখ্যা নির্ধারণ করবে।
তাই বলা যেতেই পারে এটা একটি অসহায় বিজ্ঞান প্রজেক্ট ছাড়া আর কিছুই না।যেটির কঠোর গোপনীয়তার ফলাফল সেটিকে এখনও ভোগ করতে হচ্ছে।
Shah Sultan Nur
Source: University of Alaska fairbanks.