The omnipotence paradox কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
214 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (2,630 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
ওমনিপটেন্স প্যারাডক্স (Omnipotence paradox) বা অসীম শক্তি প্যারাডক্স নামে পরিচিত এই সমস্যাটি দর্শন শাস্ত্রের একটি সুপরিচিত সমস্যা। বিভিন্নভাবে একে প্রকাশ করা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং বহুল ব্যবহৃত রূপ হচ্ছে, যদি ধরে নেওয়া হয় অসীম ক্ষমতার অধিকারী কোনো সত্ত্বা, যেমন ঈশ্বর যেকোনো কিছু তৈরি করতে পারেন এবং যেকোনো ভারী বস্তু উত্তোলন করতে পারেন, তাহলে তিনি কি এমন ভারী কোনো পাথর তৈরি করতে পারবেন, যেটি কেউই উত্তোলন করতে পারবে না? এমনকি, তিনি নিজেও উত্তোলন করতে পারবেন না!
করেছেন (220 পয়েন্ট)

এই প্যারাডক্সটির সমাধান এখানে দেওয়া আছেঃ সর্বশক্তিমান প্যারাডক্স 

0 টি ভোট
করেছেন (220 পয়েন্ট)

সর্বশক্তিমান প্যারাডক্স; স্রষ্টা কি এমন একটি পাথর তৈরি করতে পারবেন যা তিনি নিজেই তুলতে পারেন না? 

স্রষ্টার গুণাবলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো সর্বশক্তিমানতা। এই বিষয়টি নিয়ে আস্তিক-নাস্তিক উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। নাস্তিকরা ‘omnipotence paradox’ দিয়ে প্রমাণ করতে চাই যে স্রষ্টা সর্বশক্তিমান নয়। ‘omnipotence paradox’ হলো; স্রষ্টা কি এমন পাথর তৈরি করতে পারবে যা তিনি নিজেই উত্তোলন করতে সক্ষম নন? যদি তিনি পারেন তাহলে তিনি আর সর্বশক্তিমান থাকেনা। কারণ এমন একটি জিনিস থাকে যা তিনি  তুলতে সক্ষম নয়। আবার যদি তিনি না পারেন তাহলেও তিনি সর্বশক্তিমান নয়। কারণ এমন একটি জিনিস থাকে যা তিনি করতে পারেন না। ‘omnipotence paradox’ এ উল্লিখিত ঘটনাটি স্রষ্টার সর্বশক্তিমানের সংজ্ঞার সাথে বৈপরীত্য তৈরি করে। এমন আরো অনেকগুলো প্যারাডক্স রয়েছে। যেমন, স্রষ্টা যেহেতু সব কিছু করতে পারে সেহেতু তিনি কি ‘মিথ্যা’ বলতে পারবে কিনা? তিনি কি তার মতো আরো একজন স্রষ্টা তৈরি করতে পারবে কি-না?

সংজ্ঞা অনুযায়ী স্রষ্টা হলো সর্বশক্তিমান। অর্থাৎ, তার চাইতে শক্তিমান আর কোন কিছু থাকা সম্ভব না। যেহেতু, স্রষ্টা সর্বশক্তিমান তাই তার চাইতে শক্তিশালী কোনো কিছুকে আমরা কল্পনা করতে পারি না। তার চাইতে শক্তিমান কোন কিছু থাকা সম্ভব না।  নাস্তিকরা যখন এই প্যারাডক্স নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তারা স্রষ্টাকে সর্বশক্তিমান ধরেই এই প্রশ্নটি করে। যেহেতু স্রষ্টার চাইতে শক্তিশালী আর কিছু থাকা সম্ভব না সেহেতু, তার চাইতে শক্তিশালী কোন জিনিস তৌরি হওয়াও সম্ভব না। তাই এ ধরনের প্যারাডক্স গুলো (স্রষ্টা এমন পাথর তৈরি করতে পারবে কি-না যেটা তিনি নিজেই তুলতে সক্ষম নয়, তিনি কি মিথ্যা বলতে পারবেন কি-না? তিনি কি তার মতো এমন আরো স্রষ্টা তৌরি করতে পারবে কি-না?) স্রষ্টার সর্বশক্তিমান গুণের সাথে বৈপরীত্য তৈরি করে। তাই আধিভৌতিকভাবে (metaphysically) এটা অসম্ভব যে স্রষ্টা তার চাইতে শক্তিমান কোন পাথর তৈরি করবেন, মিথ্যা কথা বলবেন বা তার মতোই আরেকজন স্রষ্টা তৈরি করবেন। সংজ্ঞা অনুযায়ী স্রষ্টা হচ্ছে অসৃষ্ট। এখন তিনি যদি কোন কিছু সৃষ্টি করেন তা তো আর স্রষ্টা হতে পারেনা, সৃষ্টি হয়ে যায়। তাই তিনি তার মতো স্রষ্টা তৈরি করতে পারবে কিনা এই প্রশ্নটিই একটি ভুল প্রশ্ন। এই প্রশ্নে প্রশ্নকারী পূর্ব থেকেই কোন প্রকার যুক্তি ছাড়াই অনুমান করে নিয়েছে যে, কোন কিছু সৃষ্টি হওয়ার পরেও তা অসৃষ্টি হতে পারে বা যেটা যৌক্তিকভাবে সম্ভব না সেটাও সম্ভব হতে পারে। এভাবে পূর্ব থেকে কোন কিছু অনুমান করে নেওয়া এক ধরনের ভ্রান্তি। যুক্তি বিদ্যার ভাষায় যাকে বলে লোডেড কোশ্চেন ফ্যালাসি (loaded question fallacy)। একইভাবে নাস্তিকরা পূর্ব থেকে অনুমান করে নেয় যে, সর্বশক্তিমানের চাইতে শক্তিমান কিছু থাকতে পারে বা যেটা যৌক্তিকভাবে অসম্ভব তা সম্ভব হতে পারে। তাই এই প্রশ্নটিও মূলত একটি ভ্রান্তি।

কোন মানুষ কি একইসাথে বিবাহিত আবার অবিবাহিত হতে পারে? অবশ্যই পারে না। আবার আমরা কি চাইলে এমন কোন বৃত্ত তৈরি করতে পারবো যার কোণ হবে চারটি? এটাও পারবো না। কারণ, এগুলো যুক্তিবিদ্যার মৌলিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক। যুক্তিবিদ্যার মৌলিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়। এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে, কোন মানুষ কি বিবাহিত হয় আবার অবিবাহিত হতে পারবে? বা কেউ কি এমন কোন বৃত্ত বানাতে পারবো যার চারটি কোণ থাকবে? এই ধরনের প্রশ্নগুলো আসলে প্রশ্ন নয়। বাক্যের শেষে কেবল প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুড়ে দিলেই প্রশ্ন করা হয়ে যায় না।

যেহেতু, স্রষ্টার চাইতে শক্তিমান আর কোন-কিছু থাকা সম্ভব না সেহেতু এমন কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকাও সম্ভব নয়। তাই যেটা ঘটাই সম্ভব না তা স্রষ্টার উপর আরোপ করা যাবেনা। শাইখ আল-ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেছেন; আহলে সুন্নাহর দৃষ্টিতে, আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান এবং যা কিছু সম্ভব তার অন্তর্ভুক্ত। যেটি সহজাতভাবে অসম্ভব, যেমন একটি জিনিস বিদ্যমান এবং অস্তিত্বহীন, এর মধ্যে কোন বাস্তবতা নেই এবং এর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, তাই জ্ঞানীদের ঐকমত্য অনুসারে এটিকে ‘বস্তু’ বলা যায় না। এর মধ্যে নিজের মতো অন্যকে তৈরি করার ধারণা এবং আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[1]

স্রষ্টা সর্বশক্তিমান, তিনি যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন এর মানে যা কিছু ঘটা সম্ভব, যা কিছু যৌক্তিকভাবে সম্ভব তার সব কিছু তিনি করতে পারেন। এখন কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে তাহলে কি স্রষ্টা যৌক্তিক নিয়মে আবদ্ধ নয়? স্রষ্টা মোটেও যৌক্তিক নিয়মের অধীনে নয়। যুক্তি স্রষ্টার ঊর্ধ্বে কিছু নয়। বরং, স্রষ্টা হলেন সর্বোচ্চ যৌক্তিক সত্তা এবং যুক্তি হচ্ছে তার প্রতিফলনের মতো। তাই স্রষ্টা যৌক্তিক নিয়মের উপর নির্ভরশীল নয়। তিনি সমস্ত যুক্তির ভিত্তি। যুক্তি তার থেকেই আসে, তিনি যুক্তির নিয়মে আবদ্ধ নয়।

রেফারেন্সঃ 

[1] An atheist saying “Can Allah create a god like Himself?” – Islam Question & Answer (islamqa.info)

সর্বশক্তিমান প্যারাডক্স; স্রষ্টা কি এমন একটি পাথর তৈরি করতে পারবেন যা তিনি নিজেই উত্তোলন করতে পারেন না? - Faith and Theology (faith-and-theology.com)

0 টি ভোট
করেছেন (1,450 পয়েন্ট)
The omnipotence paradox is a philosophical problem that arises when one considers the concept of an omnipotent, or all-powerful, deity, typically within the context of monotheistic religions. The paradox can be framed in various ways, but it generally centers around the question of whether an omnipotent being can perform certain actions or tasks.

 

One common version of the omnipotence paradox is the following:

 

"Can an omnipotent being create a stone so heavy that it cannot lift it?"

 

If the omnipotent being can create such a stone, then there would be something the being cannot lift, and therefore, it's not truly omnipotent. On the other hand, if the being cannot create such a stone, then there would also be something it cannot do, and again, it wouldn't be truly omnipotent.

 

The paradox highlights a tension between the concept of omnipotence and the idea of logical or self-consistent actions. It's a topic of debate among theologians and philosophers and has led to various discussions and proposed resolutions over the years. Some argue that the paradox arises from a misunderstanding of the concept of omnipotence, while others suggest that it raises profound questions about the nature of God and the limits of power.

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 303 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Priom Chowdhury (2,630 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 561 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Priom Chowdhury (2,630 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 257 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Priom Chowdhury (2,630 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 352 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Priom Chowdhury (2,630 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 296 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Priom Chowdhury (2,630 পয়েন্ট)

10,727 টি প্রশ্ন

18,372 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,563 জন সদস্য

58 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 57 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Ahnaf_Tahmid

    330 পয়েন্ট

  3. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  4. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  5. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ তাপমাত্রা রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...