ঋতু বদলের কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাধারণত ঠাণ্ডা-সর্দি-জ্বর দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবলমাত্র মৌসুমভেদে বদলে যাওয়া তাপমাত্রার কারণেই এমনটা হয় না।
বরং তাপমাত্রার পরিবর্তনে কয়েক ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
আর এসব কয়েক ধরনের ভাইরাসই মানুষকে কাবু করে বলে জানান ফ্লোরিডার অর্লান্ডো হেলথের ইন্টারনাল মেডিসিন ফিজিসিয়ান ড. বেঞ্জামিন কাপলান।
তিনি বলেন, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে, রাইনোভাইরাস এবং করোনাভাইরাস সর্দির মূল কারণ হিসাবে কাজ করে। মজার বিষয় হলো, অপেক্ষাকৃত শীতল পরিবেশে এরা মাথাচাড়া দেয়। যেমন, বসন্ত বা শরতে এরা সংক্রমিত হয়।
আবার শীতল ও শুষ্ক বাতাসে ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা। এ কারণে শীতকালে এর প্রতাপ থাকে।
গ্রীষ্মে এ ধরনের অসুস্থতার উদয় ঘটে কয়েকটি কারণে। এ সময় প্রকৃতি, ঘাস বা ফুলের পরাগের সংস্পর্শে মানুষের মাঝে এলার্জি দেখা দেয়।
এর কারণে সর্দি, চোখ লাল হয়ে ওঠা ইত্যাদি দেখা দেয়। তবে অন্যান্য ঋতুর চেয়ে গ্রীষ্মের ভাইরাস বা এলার্জি অনেক দুর্বল প্রকৃতির হয়।
ঋতুর রোগ থেকে দূরে থাকার উপায় রয়েছে। ভালো মতো হাত ধোওয়া, ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মুক্তি মিলতে পারে। তা ছাড়া রাতে ৬-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমও দরকার।
তা ছাড়া ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বা প্রয়োজনীয় ওষুধ-পথ্য এড়িয়ে গেলে চলবে না।
সূত্র : লাইভ সায়েন্স