সাপ তাদের খোলস বদলায় কারণ সেটা জীর্ণ হয়ে যায় ও সেখানে পরজীবী থাকতে শুরু করে। আমাদের ত্বকের পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষ প্রতিনিয়ত ঝরে যায় এবং নতুন কোষ সেই জায়গা দখল করে নেয়। কিন্তু সাপের ক্ষেত্রে এরকম প্রতিনিয়ত কোষ প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটেনা। সাপের ক্ষেত্রেও নতুন কোষ প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয়, তবে পুরনো কোষগুলো প্রতিনিয়ত প্রতিস্থাপিত না হয়ে সম্পূর্ণ একসাথে প্রতিস্থাপিত হয়, ফলে একবারে নতুন চামড়া বেরিয়ে আসে এবং আমরা তাদের খোলস পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখি।
অ্যানিম্যাল প্ল্যানেটের তথ্য অনুসারে সাপ গড়ে মাসে একবার তাদের চামড়ার স্তর পরিবর্তন করে। বা তার চেয়েও কম। অল্প বয়স্ক সাপ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় এটা বেশি করে, কারণ তারা এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চামড়ার স্তর ছড়িয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় একডিসিস(ecdysis), এবং এর পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রজাতি, বয়স, আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা, স্বাস্থ্য, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর উপস্থিতি। এটি সাপের ক্ষতি করতে পারে এমন পরজীবীগুলিকে অপসারণ করতে সহায়তা করে৷
স্ত্রী সাপ প্রায়শই প্রজননের আগে বা জন্ম দেওয়ার পরে তাদের চামড়ার স্তর ফেলে দেয়।
একটি সাপ তার চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়ার আগে, এর গায়ের রঙ নীলচে দেখাতে শুরু করে এবং তার চোখগুলো অস্বচ্ছ দেখায়।
সোর্স: whole earth education, national geography