প্রাচীনকালে জাহাজের গতি বের করার জন্য সমদূরত্বে গিট্টু (নট) বাঁধা দড়ি ব্যবহার করা হতো। দড়ির এক মাথায় একটি কাঠের খণ্ড বেঁধে চলন্ত জাহাজ থেকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হতো। দড়ির আরেক মাথা থাকত জাহাজের নাবিকের হাতে। জাহাজ চলত আর তিনি দড়ি ছাড়তেন। কত সময়ে কয়টি নট পার হচ্ছে তা গণনা করে জাহাজের গতি বের করা হতো।
এই নটের সঙ্গে অবশ্য নটিক্যাল মাইলের সম্পর্ক নেই। নটিক্যাল মাইল পৃথিবীর পরিধির সঙ্গে সম্পর্কিত। ধরা যাক বিষুবরেখা একটি বৃত্ত। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এটা ৩৬০ ডিগ্রি কোণ তৈরি করে। বিষুবরেখার দৈর্ঘ্যকে ৩৬০ দিয়ে ভাগ করলে প্রতি ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব পাওয়া যায়। একে ৬০ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যাবে এক মিনিট কৌণিক দূরত্ব। এটাই নটিক্যাল মাইল। এটা এক মাইলের চেয়ে সামান্য বেশি, প্রায় ১.১৫০৮ মাইল এর সমান। অন্যভাবে বলা যায়, এক মাইলে ১৭৬০ গজ, আর এক নটিক্যাল মাইলে ২০২৫ গজ ।
১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিমি (প্রায় দুই কিমিই বলি কেমন!)