আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে হাতের এবং পায়ের বিশেষ কিছু পয়েন্ট রয়েছে যা চাপ দিলে নির্দিষ্ট পয়েন্টের নির্দিষ্ট রোগ নিরাময় হয়ে যায়। স্রষ্টা তার মহান সৃষ্টিকে নিজে লালিত করেন তাই প্রকৃতির অংশ হিসেবে মানুষ যেন তার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় জানা থাকে সেজন্য মানুষের সকল রোগের চিকিৎসা হাত ও পায়ের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলো দিয়ে রাখছেন।
আকুপ্রেসার কিভাবে কাজ করে?
চাপ বিন্দুর উদ্দীপনা -
আকুপ্রেশার আঙ্গুল, হাত বা কনুই দিয়ে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করে কাজ করে, যা আকুপয়েন্ট নামে পরিচিত। এই চাপ শরীরের মেরিডিয়ান বা শক্তি চ্যানেলের মাধ্যমে শক্তি বা কিউই প্রবাহকে উদ্দীপিত করে বলে মনে করা হয়।
চাপ বিন্দুর প্রভাব-
চাপের পয়েন্টগুলিকে উদ্দীপিত করার ফলে শরীরের উপর বিভিন্ন ধরণের প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে পেশীতে টান মুক্ত করা, ব্যথা এবং প্রদাহ হ্রাস করা এবং শিথিলকরণ এবং সুস্থতার বোধকে উন্নীত করা সহ বিশ্বাস করা হয়।
আকুপ্রেসারের মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো দূর কর যায়-------
ঘাড়ের ব্যথা, স্পন্ডলাইসিস, কোমরের ব্যথা (লাম্বার), আর্থারাইটিস, অস্ট্রোপ্রোসিস, হাঁটুব্যথা, মাথাব্যথা, সাইনাস, মাইগ্রেন, হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, এজমা, পুং ও স্ত্রীতন্ত্রের জটিল সমস্যাগুলো অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করে। এছাড়া নার্ভের যে কোন সমস্যা, প্যারালাইসিস, স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি।
আকুপ্রেসার করার সুবিধা-------
১. এই চিকিৎসা নিজেই রোগ নির্ণয় করতে পারবে (হাতের তালুতে চাপ দিলে যেখানে ব্যথা অনুভব হবে বুঝতে হবে সেখানেই সমস্যা রয়েছে, সেই ব্যথা দূর করার জন্য আকুপ্রেসার করতে হবে)।
২. হাতের তালুতে ও হাতের উপরিভাগেই সব সমস্যার সমাধান
৩. বয়সের কোন ব্যাপার নেই, সব বয়সী মানুষই আকুপ্রেসার করতে পারবে
৪. কোন খরচ নেই, কোন রাসায়নিক ডায়াগনসিস লাগে না
৫. সময়ের কোন ব্যাপার নেই, যখন তখন যে কোন অবস্থাতেই আকুপ্রেসার করা যায়।
সাবধানতা------
১. গর্ভবতী মায়েরা এই আকুপ্রেসার করবেন না।
২. ভরা পেটে আকুপ্রেসার করা যায় না।
৩. দিনে দুবারের বেশি আকুপ্রেসার করা অনুচিত।
৪. একবারে ২০ মিনিটের বেশি আকুপ্রেসার করা যাবে না।
৫. একটি পয়েন্টে ২ মিনিটের বেশি আকুপ্রেসার করা যাবে না।
বি: দ্র: আকুপ্রেশার সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয় যখন একজন প্রশিক্ষিত অনুশীলনকারী দ্বারা সঞ্চালিত হয় বা যখন সঠিক নির্দেশনা সহ স্ব-পরিচালিত হয়। যাইহোক, কিছু লোক ক্ষত, ব্যথা বা বমি বমি ভাবের মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে।