এক্সেলেরেটর কি
কোনো প্রোগ্রামের কোনো কমান্ডকে কম্পিউটারের কীবোর্ডের কোনো কি দিয়ে এক্সেস করা গেলে কীবোর্ডের সেই কী-কে এক্সেলেরেটর কী বলে। এটি শর্টকাট কী বা হট কী নামেও পরিচিত। যেমন: উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত অধিকাংশ প্রোগ্রামে একটি নতুন ফাইল খোলার জন্য কীবোর্ডে Ctrl+N কী-দ্বয় একত্রে চাপতে হয়। এটি একটি এক্সেলেরেটর কী।
এছাড়া তড়িৎ চার্জযুক্ত মৌলিক কণিকা এবং আয়নসমূহের গতিশক্তি বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম কণাত্বক (Particle Accelerator)। এসব মৌলিক কণিকা হল ইলেকট্রন, প্রোটন অথবা চার্জযুক্ত পারমাণবিক নিউক্লিয়াস (চার্জহীন বলে নিউট্রন এ যন্ত্র দ্বারা ত্বরিত হবে না)। নিউক্লীয় এবং কণিকা-পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ পদ্ধতির চিকিৎসায় এর ব্যবহার ব্যাপক।
প্রথম ত্বরকযন্ত্র ব্যবহার করা হয় ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে। এটি তৈরি করেন জে. ডি, ককক্রফট (Cockcroft) এবং ই. টি. এম. ওয়ালটন (Walton)। লিথিয়ামকে প্রোটন কণা দ্বারা আঘাত করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। ১৯২৮ সালে নরওয়েতে রফ ওয়াইডরো (Rolf Wideroe) অন্য আর এক ধরনের কণাত্বক তৈরি করেন যার নাম লিনিয়ার একসেলারেটর। বর্তমানে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন শ্রেণির কণাত্বক তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ক্রমশ উন্নতমানের কণাত্বক তৈরিতে কৃতকার্য হচ্ছেন। দু' ধরনের কণাত্বক উল্লেখযোগ্য- সরলরৈখিক (Linear accelerator) এবং বৃত্তাকার (Cyclic accelerator)।
সরলরৈখিক ত্বরক বেতার কম্পাঙ্কের সীমার মধ্যে পর্যাবৃত্ত তড়িৎক্ষেত্র প্রয়োগ করে কণাকে ত্বরিত করে । বৃত্তাকার বা চক্ৰত্বরক চৌম্বক বল প্রয়োগ করে আয়নকে কুণ্ডলী আকৃতি পথে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এ ধরনের ত্বরকের নাম সাইক্লোট্রন, সিনক্রোট্রন এবং বিটাট্রন। সম্প্রতি ১৯৯০ এর দশকে এ ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত যন্ত্র হচ্ছে অত্যাধুনিক স্টোরেজ রিং (Storage Ring)।