গাছের পাতায় ৩ ধরণের পিগমেন্ট থাকে- ক্লোরোফিল, ক্যারোটিনোয়িড এবং অ্যান্থোসায়ানিন। এর মধ্যে সালোকসংশ্লেষণে ক্লোরোফিল মূল ভূমিকা পালন করে এবং বাকি দুটো সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ক্লোরোফিল সূর্যের আলো থেকে লাল এবং নীল আলো শোষণ করে। তাই পাতায় ক্লোরোফিলের আধিক্য বেশি হলে এর রঙ আমাদের চোখে সবুজ হিসেবে ধরা দেয়।
ক্যারোটিনয়েড নীলচে-সবুজ এবং নীল রঙ শোষণ করে। পাতায় এর আধিক্য বেশি হলে পাতার রঙ আমাদের নিকট হলুদ বা হলদে-কমলা মনে হয়।
অ্যান্থোসায়ানিন নীল, নীলচে-সবুজ ও সবুজ রঙ শোষণ করে, এর আধিক্য বেশি হলে পাতার রঙ লাল বা বেগুনী মনে হয়।
লাল শাকে অ্যান্থোসায়ানিনের পরিমাণ ক্লোরোফিল বা ক্যারোটিনয়েডের চেয়ে বেশি থাকে, তাই এটি লাল। ক্লোরোফিল যেহেতু আছে তাই সালোকসংশ্লেষণ স্বাভাবিকভাবেই চলে। অর্থাৎ লালশাক অন্যান্য গাছের মতই খাদ্য প্রস্তুত করে।