Nishat Tasnim
সুইজারল্যান্ডের ডাক্তার পল ট্রক্সলার (১৭৮০ - ১৮৬৬) এটি আবিষ্কার করেন। তিনি ১৮০৪ সালে খেয়াল করেন, কোনো দৃশ্যে বিশেষ পরিবর্তন না ঘটলে আমাদের মস্তিষ্ক সেটির দিকে মনোযোগ দেয়া বন্ধ করে দেয়। আমাদের চোখ কোনো একটি নির্দিষ্ট বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকলে তার আশেপাশের স্থির সব বস্তু অদৃশ্য হয়ে যায়। এর জায়গা যা দেখা যাবে তা নির্ভর করে ওই বস্তুর পশ্চাৎপটে কি আছে তার ওপর।
আমাদের চোখের অনৈচ্ছিক গতিবিধি বা স্যাকাডও টক্সলার ইফেক্টের জন্য দায়ী। আমরা কোনো একটি বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকলেও আমাদের চোখ দ্রুত নড়াচড়া করতে থাকে। এটা বন্ধ করে দিলে বৈচিত্র্যহীন দৃশ্য পুরোটাই অদৃশ্য হয়ে যায়।
এই ছবিটা ঝাপসা এবং অপরিস্ফুট হওয়ার কারনে চোখ নির্দিষ্টভাবে তাকিয়ে থাকার কোনো জায়গা পায় না। আপনি স্থির দৃষ্টিতে ছবির কোনও এক জায়গায় তাকিয়ে থাকলে সব রং একসাথে চোখের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাস্তবে, প্রাত্যহিক জীবনে তো এমনটা হয় না! এর উত্তর খুঁজেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি মার্কি চিকিৎসক সুজান মার্তিনাজ-কন্দে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ভার্জ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, মানুষের আমাদের চোখের মাউক্রোমুভমেন্টগুলি এতটাই দ্রুত যে, এই বিভ্রমকে আমরা খেয়াল করতে পারি না।