প্রথমেই বলে রাখি, আয়রন হচ্ছে আমাদের শরীরের পুষ্টিসাধনের জন্য অন্যতম মৌলিক উপাদান। কিন্তু কথায় আছে না, ❝কোনোকিছুরই অতিরিক্ত ভালো না❞। আয়রন গ্রহণের ব্যাপারেও এই বিষয়টি প্রযোজ্য।
অতিরিক্ত আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে যে সকল সমস্যা হতে পারে:
- ত্বকে কালো দাগ হওয়া
- চুলকানি সৃষ্টি
- দাঁত হলুদ বা লালচে হওয়া
- চুল পড়ে যাওয়া
হবিগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে একেক জায়গায় আয়রনের মাত্রা একেক রকম হয়। হবিগঞ্জ পৌর এলাকার পানিতে এক থেকে তিন পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) আয়রন রয়েছে। এক থেকে দুই পিপিএম মাত্রার আয়রন গ্রহণযোগ্য। এর বেশি হলে আয়রনের মাত্রা কমিয়ে পানি ব্যবহার করা উচিত।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে,
পানিতে এক পিপিএমের বেশি আয়রন থাকলেই তা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
আপনি যদি আয়রণ মুক্ত পানি পেতে চান তাহলে ভালো মানের রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতির পানির ফিল্টার ব্যবহার করতে পারে। ফলে আপনি আয়রণ মুক্ত সম্পুর্ণ নিরাপদ পানি পাবেন। রিভার্স অসমোসিস ওয়াটার ফিল্টারের মেমব্রেনের ছিদ্রপথ ০.০০০১ মাইক্রোমিটার । এই ছিদ্রপথ অতিক্রম করে পানিতে কোনভাবেই আয়রণ প্রবেশ করতে পারে না।
আর হ্যাঁ, পানির আয়রন রিমুভ করতে ফুটানো পদ্ধতি যথেষ্ট নয়।
© তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো ও কোরা