হাত-পায়ে ঝি ঝি ধরার উপসর্গটির নাম টেম্পোরারি প্যারেসথেসিয়া। সবাই এই ঝি ঝি ধরার অনুভূতি জানে। তাই এই বিষয়ে লিখে লেখা বড় করছি না।
এখন আসি এর কারণে। সাধারণত যদি কেউ দীর্ঘক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকে কিংবা কোনো অঙ্গের উপর দীর্ঘক্ষণ চাপ দিয়ে রাখে তখন সেই অঙ্গে রক্ত চলাচলকারী রক্তনালিগুলোর রক্ত পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ওই অংশের রক্তে থাকা অক্সিজেন ঠিকভাবে সরবরাহ হয় না। আবার একই কারণে সেখানে যে স্নায়ু আছে সেগুলো কোনো উদ্দীপনা বা সংকেত মস্তিষ্কে পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধা পায়। কিন্তু হঠাৎ সেই অংশ থেকে চাপ সরে গেলে সেখান দিয়ে অনেক রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করে। একই সাথে সেই স্থানের স্নায়ুগুলোও হঠাৎ করে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে শুরু করে। তাই মস্তিষ্ক এই হঠাৎ থেমে গিয়ে আবার ফিরে আসা সংকেতকে ভুল করে সুঁচ ফোটার মতো অনুভূতি তৈরি করে। এই সুঁচ ফোটার মতো অনুভূতিকে বলে Pins and Needles।
এছাড়াও ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সুগার লেভেল বেড়ে গেলে, মেরুদণ্ডে আঘাত জনিত সমস্যা থাকলে বা পেরিফেরাল আর্টারাল ডিজিজ হলে এই সমস্যা হতে পারে। Carpel Tunnel Syndrome (অনেক্ষণ ধরে ফোন হাতে নিয়ে কাজ করা বা কীবোর্ডে কাজ করার ফলে হাতে পিনপিন অনুভূতি)- এর কারণেও ঝি ঝি ধরতে পারে যদিও হাত কয়েকবার ঝাঁকি দিলে সেরে যায়।
স্বাভাবিকভাবে চাপ পড়ার কারণে এরকম সমস্যা হলে উদ্বেগের কিছু নেই। এক্ষেত্রে এই ঝিম ধরা অনুভূতি বেশিক্ষণ থাকে না। আবার ঝিম ধরা অঙ্গ টানটান করে রাখলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এই ঝি ঝি ধরা যদি বারংবার হয় এবং দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে নেয়া উচিত।