প্রশ্নটা অনেকের মাথায় আসে যে, আমরা কেন এত কাছের চাঁদকে রেখে মঙ্গলে পাড়ি জমাতে চাই। এর উত্তর হলো মঙ্গলের পরিবেশ চাঁদের চেয়ে বেশি উপযোগী।
প্রথমেই আসি পানির কথায়। মঙ্গলে বিজ্ঞানীরা পানি থাকার সম্ভাবনা দেখছেন। আবার মঙ্গলের বায়ুতে জলীয় কণার উপস্থিতিও থাকতে পারে।
এরপর, মঙ্গলে আছে বায়ুমন্ডল। এই বায়ুমন্ডলের ৯৬% হলে কার্বন ডাই-অক্সাইড। নাসার রোভার পারসিভিয়ারেন্স 'মক্সি' নামক যন্ত্রের মাধ্যমে মঙ্গলের এই কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ভেঙ্গে অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গলে অক্সিজেনের সমস্যা নিরসনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার মঙ্গলে বায়ুমন্ডল থাকায় ড্রোন উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। কেননা, ড্রোন ওড়াতে বায়ু থাকা আবশ্যক। তবে চাঁদে কোনো বায়ুমন্ডল নেই।
আবার, মঙ্গল গ্রহে ১ কেজি ভরের বস্তুর ওজন হবে ৩.৭২ নিউটন (প্রায়)। যেখানে চাঁদে একই বস্তুর ওজন হবে ১.৬ নিউটন। এখানে বলে রাখা ভালো পৃথিবীতে ১ কেজি বস্তুর ভর ৯.৮ নিউটন (প্রায়)। ফলে বোঝা যাচ্ছে মঙ্গলের মহাকর্ষ চাঁদের চেয়ে বেশি। আর বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে মহাকর্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, নাহলে সব বস্তু শূন্যে ভাসতে থাকবে। এক্ষেত্রেও মঙ্গল এগিয়ে।
আবার, বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, মঙ্গলের জলবায়ু অনেক আগে পৃথিবীর মতোই ছিল। শুধুমাত্র চুম্বক ক্ষেত্রের বিলোপের কারণে মঙ্গল আজ এরকম।
এছাড়া মঙ্গলে সূর্যালোক বেশি পড়া, এর ভূত্বক ইত্যাদি বিষয়ের কারণেও মঙ্গলে মানুষ বসতি স্থাপন করতে আগ্রহী।