পৃথিবী বেশি উত্তপ্ত হয় না কারণ এটি যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে সেই পরিমাণ বিকিরণ করে।
আমার কাছে থাকা কিছুটা পুরনো কিন্তু এখনও প্রয়োজনীয় দশম গ্রেডের(শ্রেণী) বিজ্ঞান পাঠ্যবই অনুযায়ী, একে পৃথিবীর বিকিরণ বাজেট বলে।
তাই মনে করুন আমাদের ছোট্ট কিউট পৃথিবী প্রতি মাসে ৳১০,০০০ আয় করে। কিন্তু সে ৳৯৯৯৯.৯৫ খরচও করে।
মূলত, নেট উত্তাপের লাভ/ক্ষতি সাধারণত ০।
আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, তিনি গ্রিনহাউস গ্যাস ইত্যাদির কারণে প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে অতিরিক্ত শক্তি জমা রাখছেন। তাই এই জলবায়ু পরিবর্তন।
ভূমির অধিকাংশ উত্তাপ সূর্যের মাধ্যমে হয়। আমি ধরে নিচ্ছি উত্তাপ সূর্য, পৃথিবীর আবরণ/ভূমি এবং অভ্যন্তরের কেন্দ্র থেকেও আসে। সূর্যের আলো ভূমিতে সারাদিন শোষণ হয় আর রাতে বিকিরিত হয়।
কিছু ভূতল, তুষারাচ্ছাদিত, উচ্চ আলবেডো থাকে যার অর্থ তারা শক্তি প্রতিফলিত ভাল করে। এজন্য এই আর্কটিক এবং অ্যান্টার্কটিক তুষার গলে যেতে চায় না। তুষার উত্তাপ প্রতিফলিত করে, যদিও জল তা শোষণ করে।
পৃথিবী সত্যই বিশাল, তাই প্রচুর তাপশক্তি তার বায়ুমণ্ডল দিয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়, যদি না গ্রীনহাউস গ্যাসের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং পৃথিবীতে ফিরে না পাঠানো হয়।
আপাতত আমাদের রেডিয়েশনের বাজেট মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ। তবে আমরা যদি এই গ্রহের যে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করতে না শুরু করি, তবে আমাদের ঘুরন্ত ছোট্ট পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে।
এটা আসলেই খারাপ দিক।