আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ি ঢোকা শুরু হয়েছে বেশ আগে নয়,কিন্তু এর মধ্যেই এটি আমাদের দেশে বহুল জনপ্রিয় এবং বর্তমানে আমাদের দেশে ইম্পোর্ট হওয়া গাড়িগুলোর একটা বিরাট অংশ দখল করে নিয়েছে।আজকে আলোচনা হবে হাইব্রিড গাড়ির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
# হাইব্রিড গাড়ির সূচনা ও আমাদের দেশে হাইব্রিড কারঃ
হাইব্রিড আমাদের দেশে তূলনামুলক নতুন হলেও এটি কিন্তু মোটামুটি অনেক আগের টেকনোলোজি।১৮৯৯ সালে ফার্দিন্যান্ড পোর্শা প্রথম হাইব্রিড গাড়ির ধারণা দেন যাকে লোনার পোর্শে মিক্সটে বলা হতো।কিন্তু তখন উন্নতমানের ব্যাটারি ও ইলেক্ট্রিক মোটর ছিলো না বলে,তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।১৯৬০ এর দশকে আমেরিকার গভর্মেন্ট এয়ার পলিউশন কমানোর জন্য হাইব্রিড গাড়ির প্রতি সবাইকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বললে সারা বিশ্বে সব ম্যানুফ্রাকচার এর হাইব্রিড গাড়ির দিকে চোখ যায়।হাইব্রিড গাড়ির বিপ্লব শুরু হয় মূলত ৯০ এর দশকে।তখন টয়োটা লঞ্চ করে তাদের মোস্ট এফিসিয়েন্ট হাইব্রিড কার প্রিয়াস,১৯৯৭ সালে। টয়োটাকে ফলো করে হোন্ডা লঞ্চ করে তাদের ইনসাইট হাইব্রিড,১৯৯৯ সালে।তখনকার এই হাইব্রিড গাড়িগুলো তাদের ফিউল এফিসিয়েন্সি এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।২০০৩ সালে আমাদের দেশে আনা হয় ৩০ টির মতো হাইব্রিড কার,কিন্তু আফটার সেলস সার্ভিস এর অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো হাইব্রিড গাড়ির ইম্পোর্ট।এইতো কয়েকবছর আগেই আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ির ট্যাক্স কমানোর পরেই ইম্পোর্টার রা আনতে থাকেন প্রচুর হাইব্রিড কার,দেশেই গড়ে ওঠে হাইব্রিড গাড়ির মানসম্মত ওয়ার্কশপ।
# হাইব্রিড গাড়ি কিভাবে কাজ করেঃ
হাইব্রিড গাড়ির কাজের ব্যাপারে ডেপথ এ যাওয়ার আগে প্রিন্সিপাল গুলো জানা প্রয়োজন।হাইব্রীড গাড়িতে নিকেল মেটাল অথবা লিথিয়াম আয়ন হাইব্রিড ব্যাটারি থাকে যা ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত কর্মশক্তি ও রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এর মাধ্যমে চার্জ হয়। রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এ ব্রেক করার পর চাকার ফ্রিকশন থেকে যে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তার মোটামুটি ৪০℅ শক্তিকে স্পেশাল মোটরকে উল্টা ডিরেকশনে ঘোরানোর মাধ্যমে ইলেক্ট্রিকাল এমপাথপাটিক এম্পেল এনার্জি হিসাবে ব্যাটারিতে জমা করে।অন্যদিকে ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত কর্মশক্তিকে জেনারেটর ইলেক্ট্রিক এনার্জিতে কনভার্ট করে ব্যাটারিকে চার্জ করে।হাইব্রিড গাড়ি মূলত ৩ টি মোড এ চলে।একটিতে ইঞ্জিন শুধু চলে ব্যাটারি চার্জ হয়,আরেকটিতে ব্যাটারি শুধু চলে ইঞ্জিন বন্ধ থাকে (Ev Mode), অন্যটিতে ব্যাটারি ও ইঞ্জিন কম্বাইন্ডলি পাওয়ার দিয়ে গাড়িকে চালায়।
হাইব্রিড গাড়িকে মোট ৬ ভাগে ভাগ করা যায়।এগুলো হলো- (১) সিরিজ হাইব্রিড (২) প্যারালাল হাইব্রিড (৩) সিরিজ প্যারালাল হাইব্রিড (৪) মাইল্ড হাইব্রিড (৫) মাইক্রো হাইব্রিড ও (৬) প্লাগ ইন হাইব্রিড।
সিরিজ হাইব্রিডে ইঞ্জিনের সাথে লাগানো থাকে জেনারেটর,জেনারেটর এর সাথে লাগানো থাকে কন্ট্রোলার ডিভাইস,কন্ট্রোলার ডিভাইস এর সাথে সংযুক্ত থাকে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং একটি মোটর যা এক্সেলের ফাইনাল ড্রাইভের সাথে যুক্ত থাকে।
সিরিজ হাইব্রিডে EV (Electronic Vehicle) মোড এ ব্যাটারি কন্ট্রোলার এর মাধ্যমে ইঞ্জিনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মোটরকে ঘোরায় যা এক্সেলের ফাইনাল ড্রাইভকে ঘোরানোর মাধ্যমে গাড়িকে চালায়।ইঞ্জিন চালু হলে এর সাথে লেগে থাকা জেনারেটর ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত শক্তিকে ইলেক্ট্রিক এনার্জিতে কনভার্ট করে যা হাইব্রিড ব্যাটারিকে চার্জ করে (উদাহরণ -Fisker Karma)।অন্যদিকে প্যারালাল হাইব্রিডে ইলেক্ট্রিক মোটরই জেনারেটর হিসাবে কাজ করে এবং প্যারালাল হাইব্রিডে ইঞ্জিন সরাসরি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে ড্রাইভ ট্রেইনের সাথে যুক্ত থাকে,কিন্তু আমরা দেখেছি সিরিজ হাইব্রিডে ইঞ্জিন সরাসরি চাকায় পাওয়ার দেয় না,এতে তাকে ইনভার্টার হয়ে ফাইনাল ড্রাইভে যেতে হয়।অর্থাৎ প্যারালাল হাইব্রিডে Ev মোডে ব্যাটারি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে চাকায় পাওয়ার দেয়,অন্যদিকে ইঞ্জিন চালু থাকলে পাওয়ার ইঞ্জিন থেকে সাধারণ গাড়ির মতোই ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে গাড়িকে চালায়,আর এর সাথে লেগে থাকা জেনারেটর ব্যাটারি চার্জ করে(উদাহরণ-আমাদের দেশের বেশিরভাগ হাইব্রিড কার- এক্সিও,প্রিয়াস,আকুয়া,এক্স ট্রেইল,ভেজেল,নোয়াহ)।টয়োটার বহুল জনপ্রিয় Hybrid Synergy Drive এ প্যারালাল হাইব্রিড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে দুটি জেনারেটর-মোটর (MG1 & MG2), তিনটি ইনভার্টার এবং দুটি কনভার্টার থাকে।এক্ষেত্রে গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট এর সময় MG1, স্টার্টার মোটর হিসেবে কাজ করে হাইব্রিড ব্যাটারি থেকে পাওয়ার নিয়ে গাড়ি চালু করে।গাড়ি যখন ইভি মোডে চলে তখন ট্রান্সমিশন সংলগ্ন MG2,মোটর হিসেবে কাজ করে এবং ড্রাইভ শ্যাফট কে ঘোরায়। গাড়ি যখন শুধু ইঞ্জিন মোডে চলে তখন ইঞ্জিন ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে ড্রাইভ শ্যাফট কে ঘোরায় এবং সাথে সাথে ক্রাংকশাফট এর রোটেশন কে কাজে লাগিয়ে ইঞ্জিন সংলগ্ন MG1 জেনারেটর হিসেবে কাজ করে ব্যাটারিকে চার্জ করে। পাশাপাশি ব্রেকের তাপশক্তি এবং চাকার রোটেটিং এনার্জি ট্রান্সমিশন সংলগ্ন MG2 কে ঘোরায় এবং সেটি তখন আবার জেনারেটর হিসেবে কাজ করে ব্যাটারি চার্জ করে।আর গাড়ির অক্সিলারি ব্যাটারি সকল ইনফোটেইন্মেন্ট সিস্টেমকে ইভি মোডেও চালু রাখে। কেননা হাইব্রিডে ১২ ভোল্ট ব্যাটারি চার্জ হয় হাইব্রিড ব্যাটারির মাধ্যমে, হাইব্রিড ব্যাটারির হাই ভোল্টেজ DC কারেন্ট DC-DC কনভার্টার এর সাহায্যে লো ভোল্টেজে রূপান্তরিত হয়ে ১২ ভোল্ট ব্যাটারিকে চার্জ করে।আর যে তিনটি DC-AC ইনভার্টার থাকে ওগুলো হাইব্রিড ব্যাটারির DC কারেন্ট কে AC তে রুপান্তরিত করে যা MG1 এবং MG2 উভয়ই মোটর হিসেবে কাজ করার সময় ব্যবহার করে থাকে। সিরিজ প্যারালাল হাইব্রীড সিরিজ ও প্যারালাল হাইব্রিডের সমন্বিত একটি রূপ।অন্যদিকে মাইল্ড হাইব্রিডে শুধুমাত্র রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এর মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ হয় পাশাপাশি যা গাড়ি চালু করতে স্টার্টার মোটরকে পাওয়ার দেয়। মাইক্রো হাইব্রিডকে মূলত হাইব্রিড গাড়ি বলা যায় না,কারণ এই গাড়িগুলোতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এর মাধ্যমে একটি স্পেশাল ব্যাটারি চার্জ হয় যা গাড়িতে পাওয়ার দেয় শুধুমাত্র গাড়ির পাওয়ার বাড়ানোর জন্য। অন্যদিকে প্লাগ ইন হাইব্রিড এ আলাদাভাবে হাইব্রিড ব্যাটারিকে চার্জ দিয়ে তারপর অনেক্ষণ তা Ev মোডে চালানো যায়। (উদাহরণ -Prius PHv,Outlander PHv).
অন্যদিকে হাইব্রিড গাড়ির এই জটিল সিস্টেম এর কোনটি কখন কাজ করবে তা নির্ধারণ করে PCU (POWER CONTROL UNIT).অনেকেই বলে "হাইব্রিড গাড়ির ব্যাটারি ৪০ kph এর পরে চলে না,এটা নেহাত ভুল কথা"
# হাইব্রিড গাড়ির মেইন্টেইনেন্স ও উপযোগিতাঃ
অনেকেই মনে করেন হাইব্রিড গাড়ির মেইন্টেইনেন্স বেশি,যেকোনো সময় ব্যাটারি নষ্ট হলে বাড়তি খরচ,আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ি উপযোগি নয়।প্রকৃতপক্ষে হাইব্রিড গাড়ির রেগুলার মেইনটেইনেন্স উল্টো কম,কেননা একদিকে যেমন হাইব্রিড সিস্টেমের জন্য আলাদা কোনো রেগুলার মেইন্টেইনেন্স লাগে না (হাইব্রিড ব্যাটারি ও এর কুলিং ফ্যান ক্লিন করা ছাড়া),অন্যদিকে হাইব্রিড গাড়ি সারাক্ষণ ইঞ্জিনে চলে না বলে ইঞ্জিনের কম্পোনেন্টস গুলোর লঞ্জিভিটি বেশি হয়,ইঞ্জিনে কম কার্বন বিল্ড আপ হয়,ওভারহিটিং কম হয়।হাইব্রিড গাড়ির সবচেয়ে বড় সুবিধা কম পরিবেশ দূষণ এবং ফিউল এফিসিয়েন্সি।আমাদের দেশের পপুলার হাইব্রিড কার এক্সিও, আকুয়া তে সিটিতে অনায়েসে ১৫+ এবং হাইওয়েতে ২৪-২৬ এবং ৩২ মাইলেজ পাওয়ার ও নজির আছে।হাইব্রিড ব্যাটারি সাধারণত ২ লক্ষ কিমি টেকে বলে ধরা হয়। কখনো কখনো তা ৩ লক্ষ পর্যন্ত ও টেকে,কখনো দেড় লক্ষের মাথায় প্রবলেম দেওয়া শুরু করে। হাইব্রিড ব্যাটারির যদি ২ লক্ষ কিমি ও চলে, তারপর ধীরে ধীরে ব্যাটারির সেলগুলো নষ্ট হতে শুরু করে।আপনি চাইলে আলাদা আলাদা সেল রিপ্লেস করতে পারবেন,চাইলে পুরো ব্যাটারি চেঞ্জ করতে পারবেন।কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেকানিকেরা হাইব্রিড গাড়ির ভোল্টেজ মেইন্টেইন করতে পারে না সেল রিপ্লেসমেন্টের সময়+দেখা যায় একটি সেল নষ্ট হলে কিছু সময়ের মধ্যেই অন্যান্য সেলগুলো ও নষ্ট হতে শুরু করে।তো সেল নষ্ট হতে শুরু করলে পুরো ব্যাটারি চেঞ্জ করাটাই বেস্ট।বাজারে চাইনিজ ও জাপানিজ দুই ধরণের ব্যাটারি পাওয়া যায়।চাইনিজ ব্যাটারি লাগাতে সোয়া লক্ষ টাকা লাগে,যেটা ২-৩ বছর খুব ভালো চলবে।আর জাপানিজ ব্যাটারি লাগাতে প্রায় ২লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাগে যেটা ২ লক্ষ কিমি পর্যন্ত চলবে সঠিক পরিচর্যা করলে।
অনেকেই বলেন আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ি উপোযোগী নয়।কথাটা ঠিক নয়। আশির দশকে আমাদের দেশে অটোমেটিক ট্রান্সমিশন আসার পরও অনেক মানুষ বলেছিলো অটোমেটিক গিয়ার ভালো না,যা এখন কেউ বলে না।২ লক্ষ কিমি পর এমনিতেই দেখা যায় নন হাইব্রিড গাড়িতে ও ইঞ্জিনে বড় টাকার কাজ করানো লাগতে পারে।হাইব্রিড গাড়িতে ২ লক্ষ কিমি চলতে আপনার যেই টাকার তেল বাচবে,সেই টাকা দিয়ে আপনি অনায়েসেই ১ টা হাইব্রিড ব্যাটারির টাকা তুলতে পারবেন। আর আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ির ইম্পোর্ট ট্যাক্স প্রায় ৩০% কম হওয়ায় একই মডেলের নন হাইব্রিডের চাইতে আপনি হাইব্রিড মডেল ২-২.৫ লক্ষ টাকা কম দামে পাবেন। যেটা একটা হাইব্রিড ব্যাটারির দামের সমান।আর পুরো ওয়ার্ল্ড এখন হাইব্রিড গাড়িকে পেছনে ফেলিয়ে ইলেক্ট্রিক কার ও হাইড্রোজেন ফিউল সেল কার এর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।২০৩০ এর পর টয়োটা জানিয়েছে তারা কোনো নন হাইব্রিড গাড়ি প্রোডাকশন করবে না।আর আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ির অনেক স্পেশালাইজড ওয়ার্কশপ ও গড়ে উঠেছে যেমনঃ আই ওয়ার্কস,ভেইকেল সলিউশন,স্পিড কেয়ার, আরো অনেক।তাই হাইব্রিড গাড়িকে আমাদের দেশের জন্য অনুপযোগী বলা যুক্তিসংগত নয়।
পরিশেষে বলতে চাই,একজন হাইব্রিড গাড়ি ইউজার হিসাবে (Axio hybrid 2013) হাইব্রিড গাড়ির ব্যাপারে কিছু টিপস-
(১) হাইব্রিড গাড়ি সবসময় লো মাইলেজ কেনার ট্রাই করবেন,অন্তত ৮০ হাজার কিমি এর নিচে,৬০ এর নিচে হলে খুবই ভালো।
(২) হাইব্রিড গাড়িতে এসি চালিয়ে রাখার ট্রাই করবেন।কেননা হাইব্রিড গাড়ির এসি সিস্টেম কোনো এক্সট্রা তেল খায় না,জেনারেটর এর মাধ্যমেই এসির কম্প্রেশর রান হয়। এই এসির বাতাস পিছের সিটের এয়ার ভেন্টস দিয়ে ব্যাটারিকে ঠান্ডা রাখে,এই ক্ষেত্রে এয়ার ভেন্টস গুলো ও ক্লিন রাখবেন। ৫-৬ মাস পর পর হাইব্রিড কুলিং ফ্যান ক্লিন করবেন।
(৩) হাইব্রিড গাড়িতে সর্বদা টায়ার প্রেশার ঠিক রাখবেন। রিম সাইজ চেঞ্জ করবেন না অতি প্রয়োজনীয় না হলে। ভালো মাইলেজ পেতে Eco মোড এ চালাতে পারেন।এতে থ্রটল রেসপন্স কিছুটা বাজে হবে,কিন্তু পিসিউ পারতে ইঞ্জিন চালু করবে না।যদিও সর্বদা ইকো মোডে চালালে মাইলেজ কম পেতে পারেন।জ্যাম এ N গিয়ারের বদলে P গিয়ারে গাড়ি রাখতে পারেন কেননা নিউট্রাল গিয়ারে Hv ব্যাটারি থেকে ইঞ্জিন মোডে গাড়ি সুইচ হতে চায় না, ফলে ব্যাটারি ড্রেইন হয়ে গাড়ি বন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে!
(৪) প্রত্যেক বছর একবার হাইব্রিড ব্যাটারি খুলে টার্মিনাল গুলোর কার্বন এবং ক্যালসিয়াম ডিপোজিট ক্লিন করাবেন।
(৫) হাইব্রিডের ভালো মাইলেজের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে প্রত্যেক বছর ১ অথবা ২ বার থ্রটল বডি, ইঞ্জেক্টর, ফিউল পাম্প এবং EGR সিস্টেম ক্লিন করাবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(৬) হাইব্রিড গাড়ির ব্রেক বুস্টারের দাম অনেক, তাই ব্রেক বুস্টার দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে জ্যামে লম্বা সময় ব্রেক ধরে বসে থাকবেন না কারণ জ্যামে ব্রেক ধরে বসে থাকলে হাইব্রিডের ব্রেক একচুয়েটর মোটর চলতে থাকে। পাশাপাশি অবশ্যই জেনুইন ব্রেক প্যাড ও ব্রেক শু ব্যবহার করবেন এবং প্রত্যেক ৪০০০০ কিলো পর পর ব্লিডিং সহ ব্রেক ফ্লুইড চেঞ্জ করবেন।
(৫) সর্বদা 0W-20 গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ইউজ করবেন।
Written By- Mahdee Arif (Automotive article writer, founder- BD PETROLHEADS COMMUNITY)