খরস্রোতা নদীগুলো উভয় পাড়েই প্রচুর পরিমান ভূমি ক্ষয় করে পাড় ধ্বংস করে,যার ফলে পাড়ে থাকা সবকিছুর বড় রকমের ক্ষতিসাধন হয়।এই ক্ষয় রোধে নদীর পৃষ্ঠভাগ থেকে পাড়ের উচ্চতাবিশিষ্ট বিরাট আকৃতির পাথর বা কংক্রিটের তৈরী ব্লক দিয়ে জলের স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করে পাড়ের মাঝে বাধের মত বানিয়ে পাড়ের ক্ষয়রোধের এই প্রক্রিয়াই মূলত নদী শাষন।এটি একটি রাজনৈতিক, সামাজিক , অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা।পানির নিরাপত্তা, পানিসম্পদের সুষ্ঠু বন্টন ও এ সম্পর্কিত বিরোধ এড়াতে পানি শাষন অপরিহার্য।এই পানি সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা মানুষের জীবনযাত্রা ও এই সম্পদের স্থায়িত্বের উপর গভীর প্রভাবে ফেলে।সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের পদ্মা সেতুকে ঘিরে নদীর উভয় পাড় মিলে নদী শাষন হয়েছে ১২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে।পদ্মা সেতু এলাকাকে নদী ভাঙনসহ যে কোনো দুর্যোগ থেকে রক্ষায় প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং জাজিরা এলাকায় ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার নদীশাসন হচ্ছে। এই কাজ করছে চীনের কোম্পানি সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড। খরচ হচ্ছে আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।