আমরা আমাদের চারপাশের যত বস্তু দেখি, তার প্রায় সবই ত্রিমাত্রিক অর্থাৎ এদের প্রায় প্রত্যেকেরই দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা রয়েছে। কিন্তু যদি বলা হয় আমাদের এই মহাবিশ্ব মূলত ১০ ডাইমেনশনাল (স্ট্রিং থিউরি অনুযায়ী ১০, M-থিওরি অনুযায়ী ১১, আর বোসনিক স্ট্রিং থিওরি অনুযায়ী ২৬)(অপ্রমানিত) তখন কেমন লাগবে শুনতে?
হ্যাঁ, স্ট্রিং থিওরি কিন্তু তাই বলে যে আমাদের মহাবিশ্ব ১০ ডাইমেনশন দিয়ে তৈরি। ১০ ডাইমেনশনাল মহাবিশ্ব বুঝতে হলে আগে আমাদের বুঝতে হবে ডাইমেনশন বা মাত্রা কী। এখানে আমি যতটা সম্ভব সবকিছু সহজভাবে উপস্থাপন করার চেস্টা করছি।
১ম ডাইমেনশন (Dimension) বা মাত্রা : (যার শুধুমাত্র দৈর্ঘ্য রয়েছে, প্রস্থ ও উচ্চতা নাই, উদাহরণ - খুব সরু সুতা)
সাধারণভাবে বলতে গেলে ডাইমেনশন বা মাত্রা বলতে কোন স্থানের বা বস্তুর যে কোন বিন্দুর অবস্থানকে সুনির্দিষ্টভাবে জানার জন্য আমাদের যতগুলো দৈর্ঘ্য বা স্থানাংক জানা প্রয়োজন হয়, তার সংখ্যাকে বুঝায়। উদাহরণস্বরূপ, যে কোন সরলরেখা হল একমাত্রিক বা ১ ডাইমেনশনাল। কারণ, একটি সরল রেখার উপর অবস্থিত কোন বিন্দুর অবস্থান জানার জন্য আমাদের কেবলমাত্র উক্ত বিন্দুটি কোন রেফারেন্স পয়েন্ট বা মূল বিন্দু হতে কতটা দূরে আছে, তা জানা প্রয়োজন। অর্থাৎ বিন্দুটির অবস্থান জানার জন্য আমাদের কেবলমাত্র একটা মাত্র দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব মাপা দরকার। তাই খুব সরু কোন সরলরেখা, সুতা বা দড়িকে আমরা একমাত্রিক বস্তু হিসেবে কল্পনা করতে পারি।
২য় ডাইমেনশন : (যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ রয়েছে, উচ্চতা নেই, উদাহরণ - বইয়ের পাতা)
এবার দেখা যাক ২ ডাইমেনশন বা দ্বিতীয় মাত্রা কী। কোন সমতল হল দ্বিমাত্রিক বস্তুর একটি সুন্দর উদাহরণ কারণ সমতলের উপর অবস্থিত কোন একটা বিন্দুকে সুনির্দিষ্ট করার জন্য আমাদের কমপক্ষে দুইটা দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব জানা প্রয়োজন। দুইটা দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব ছাড়া আপনি কোনভাবেই বিন্দুটিকে সুনির্দিষ্ট করতে পারবেন না। যেমন, ধরা যাক কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনার অফিস আপনার বাসা থেকে কত দূর, তাহলে আপনি যদি বলেন ২০ মিটার দূরে তাহলে কিন্তু উত্তরটি অসম্পূর্ণ থেকে গেল। ২০ মিটার দূরে, ঠিক আছে, তবে সেটা কোন দিকে সেটাও বলতে হবে। তার চেয়ে বরং ভাল উত্তর হতে পারে, বাসা থেকে সোজা ১৪ মিটার উত্তর দিকে হেটে তারপর সোজা ১৫ মিটার পশ্চিম দিকে হাটলেই আপনি আমার স্কুলের অবস্থান পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ অফিসের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে জানার জন্য আপনাকে কমপক্ষে দু'টো দৈর্ঘ্য বলতে হচ্ছে, সুতরাং পৃথিবীর পৃষ্ঠ হল দ্বিমাত্রিক। একইভাবে, কোন বইয়ের পৃষ্ঠাকেও আমরা দ্বিমাত্রিক বস্তু হিসেবে কল্পনা করতে পারি। এক কথায় বলা যেতে পারে, যে সকল বস্তুর শুধু মাত্র দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আছে, কোন উচ্চতা নাই তারা হল দ্বিমাত্রিক বস্তু। দ্বিমাত্রিক বস্তুর আরো উদাহরণ হল আপনার শোবার ঘরের বিছানার বেড শিট, প্রেমিকাকে লেখা চিঠি ইত্যাদি। ২ ডাইমেনশনে যদি কোন জীবন্ত প্রানী বা জীব বাস করত তাহলে তারা দেখতে তাসের গোলাম, বিবি, রাজার মত চ্যাপ্টা হত (who knows of what shape they would be!)।
৩য় ডাইমেনশন : (যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা তিনটিই রয়েছে, উদাহরণ - ইট)
এবার আসা যাক ৩ ডাইমেনশন বা তৃতীয় মাত্রায়। যে কোন বাক্স হল ৩ ডাইমেনশনাল বস্তু কারণ বাক্সের ভিতরে অবস্থিত কোন বিন্দুর অবস্থানকে জানার জন্য আমাদের তিনটি দূরত্ব জানা প্রয়োজন। বিন্দুটি বাক্সের পৃষ্ঠ হতে কতটা উচুতে আছে তা জানা প্রয়োজন। আবার পৃষ্ঠের উপরিস্থিত কোন বিন্দুকে জানার জন্য আমাদের আরো দুইটা দৈর্ঘ্য জানা প্রয়োজন, সুতরাং এক্ষেত্রে আমাদের মোট তিনটি দৈর্ঘ্য জানতে হচ্ছে। তাই বাক্স হল ত্রিমাত্রিক বস্তুর একটি সুন্দর উদাহরণ। আমাদের চারপাশে যত স্পেস বা স্থান দেখি তা হল ত্রিমাত্রিক বা ৩ ডাইমেনশনাল। আমরা নিজেরাও ত্রিমাত্রিক জীব কারণ আমাদের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা রয়েছে।
৪র্থ ডাইমেনশন : (সময় - আমাদের বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া)
এবার আসা যাক চতুর্থ মাত্রা বা ৪ ডাইমেনশনে। এর আগে আমি ডাইমেনশনের সংজ্ঞা একটু সরলীকৃতভাবেই উপস্থাপন করেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানের ভাষায় ডাইমেনশন বা মাত্রা বলতে সেই সকল জিনিসকে বুঝানো হয় যার দ্বারা কোন একটা ঘটনাকে সুনির্দিষ্ট করা হয়। এখন একটু চিন্তা করলেই আপনি দেখতে পাবেন যে এই মহাবিশ্বের যে কোন ঘটনা একটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে থাকে। তাই যে কোন ঘটনাকে সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করার জন্য ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তার সাথে সাথে ঘটনাটি ঘটার সময়টাও আমাদের জানা দরকার। কারণ ঐ একই স্থানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটা সম্ভব। তাহলে, আমরা দেখতে পাচ্ছি এই দিক থেকে সময় বা Time-কেও আমরা আলাদা একটা মাত্রা বা ডাইমেনশন হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। আর হ্যা, সময়ই হল আমাদের ক্ষেত্রে চতুর্থ মাত্রা। সময়ের সাথে সাথে আমরা বুড়ো হয়ে যাই, নক্ষত্রের জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। তারপর একদিন মৃত্যুবরণ করে নক্ষত্রটি। আজ থেকে প্রায় ৪ বা ৫ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের প্রিয় সূর্যও একদিন এমনি করে মারা যাবে। আমরা প্রায় সবাই জানি, বিজ্ঞানের মতে আজ থেকে প্রায় ১৩.৬ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাঙ বা বৃহৎ বিস্ফোরণের মাধ্যমে আমাদের এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। এর আগে সময়, স্থান বলে কিছুই ছিল না। ঐ মুহুর্ত থেকেই স্থান এবং সময়ের সৃষ্টি। সেই থেকে সময় শুধু সামনের দিকে অর্থাৎ ভবিষ্যতের দিকেই ধেয়ে চলছে৷ এখন আমি আগেই বলেছি আমরা হলাম ত্রিমাত্রিক জীব। সময় আমাদের ক্ষেত্রে চতুর্থ মাত্রা। আমাদের মত যদি কোন প্রানী চতুর্থ মাত্রায় বাস করে থাকে এবং সে যদি জীবন্ত হয়, তাহলে সে একই সাথে তার বয়সকে কন্ট্রোল করতে পারবে। অর্থাৎ সে ইচ্ছে করলেই বুড়ো থেকে যুবক আবার যুবক থেকে বুড়ো হতে পারবে। কী ভয়ংকর এবং গা শিউরে উঠার মত ঘটনা! আমরা যেহেতু ত্রিমাত্রিক, সেহতু আমরা যদি কোন দিন চতুর্থ মাত্রা সময় (time)- এ একসেস (access) বা প্রবেশ করতে পারি, তখন আমরা আমাদের বয়সকে কন্ট্রোল করতে পারব। তখন আমরা আমাদের অতীত এবং ভবিষ্যতেও ভ্রমন করতে পারব।
৫ম ডাইমেনশন : (আপনি একই সাথে এক মহাবিশ্বে ডাক্তার, অন্য মহাবিশ্বে ইঞ্জিনিয়ার)
এবার পঞ্চম মাত্রা বা ৫-ডাইমেনশনের পালা। চার ডাইমেনশনের পরের মাত্রাগুলি বুঝা বা উপলব্ধি করা আসলে একটু কঠিন। ধারণা করা হয় এরা সাবএটমিক (subatomic) বা পরমাণুর মত ক্ষুদ্রতম জগতে অবস্থান (exist) করে এবং নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে আছে। পঞ্চম মাত্রায় আমরা আমাদের চেয়ে ভিন্ন মহাবিশ্বের কথা কল্পনা করে থাকি যেটিও বিগ ব্যাং থেকে সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু তাদের জগত আমাদের জগত থেকে আলাদা। অর্থাৎ বিগব্যাং যদি তাদের পিতা হয় তাহলে তারা হল একই পিতার সন্তান-সন্ততি কিন্তু চরিত্রগত দিক দিয়ে একে অপরের থেকে ভিন্ন। এক কথায়, তারা বিগ ব্যাং থেকে সৃষ্ট ভিন্ন ভিন্ন ব্রাঞ্চের আলাদা আলাদা মহাবিশ্ব। ফিফথ ডাইমেনশনে আপনি বাস করলে অতীতে ফেরত না গিয়েই একই সাথে আপনি এক মহাবিশ্বে ডাক্তার এবং অন্য মহাবিশ্বে ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন, অর্থাৎ দু'টো কাজ একই সাথে সম্পন্ন করতে পারবেন। আরো একটু সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যাক। ধরা যাক, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সামনে আপনার ভর্তি পরীক্ষা। আপনি চাইছেন ইঞ্জিনিয়ার হতে কিন্তু আপনার মা-বাবা চাইছে আপনি ডাক্তার হোন। ৫ ডাইমেনশনে বাস করলে আপনাকে এ নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হত না, আপনি একই সাথে তখন এই দুইটি কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন। সেক্ষেত্রে দুটি আলাদা মহাবিশ্বের একটিতে আপনি ডাক্তার আর অন্যটিতে আপনি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে উঠতেন।
৬ষ্ঠ ডাইমেনশন : (একই ব্যক্তির দুটো ভিন্ন প্রতিরূপ- এক মহাবিশ্বের ডাক্তার অন্য মহাবিশ্বের ইঞ্জিয়ারের সাথে সাক্ষাৎকার )
ধরা যাক, আপনি ৫ ডাইমেনশনে বাস করছেন এবং আপনার এক প্রতিরূপ এক মহাবিশ্বে ডাক্তার এবং অন্য মহাবিশ্বে ইঞ্জিনিয়ার। দু'টো মহাবিশ্বই বিগ ব্যাং থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল। আপনার'ই দুটো ভিন্ন প্রতিরূপ এখন একে অপরের সাথে দেখা করতে চাইছে। আপনি এই কাজটি দুইটি উপায়ে করতে পারেন। প্রথম উপায় হল, আপনার ডাক্তার প্রতিরূপকে টাইম ট্রাভেল করে সেই সময়টাতে ফিরে আসতে হবে যখন আপনি একই সাথে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য পড়ালেখা শুরু করেছিলেন। ফিরে এসে যে প্রতিরূপ ইঞ্জিয়ার হতে চেয়েছিল, তার সাথে একই সময়ের দিক বরাবর এগিয়ে যেতে হবে। এক সময় ইঞ্জিনিয়ারের প্রতিরূপ ইঞ্জিনিয়ার হবে আর তখন ডাক্তারের প্রতিরূপ হবে ডাক্তার।
দ্বিতীয় উপায় হল এইসব টাইম ট্রাভেল ছাড়া অন্য কোন শর্ট কার্ট ওয়েতে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ভিন্ন প্রতিরূপ দু'টির সরাসরি সাক্ষাত করা। আর এই সরাসরি সাক্ষাৎকার যে ডাইমেনশনকে এক্সেস (access) করলে তারা করতে পারবে, সেটিই হল ৬ ডাইমেনশন। আরো সহজভাবে বলতে গেলে ৬ ডাইমেনশনে আমরা বাস করলে আমরা একই সাথে আমাদের বিভিন্ন মহাবিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিরূপের সাথে ইচ্ছে করলেই মুহূর্তের মধ্যে দেখা করতে পারতাম।
৫ এবং ৬ ডাইমেনশনকে যদি আমরা করায়ত্ত করতে পারতাম, তাহলে আমরা সময়ের আগে পিছে গিয়ে আমরা আমাদেরই ভবিষ্যতের বিভিন্ন (not the same) প্রতিরূপের সাথে দু'চার মিনিট জমিয়ে আড্ডা দিয়ে আসতে পারতাম।
৭ম ডাইমেনশন : (শুধুই কী বিগ ব্যাং নাকি অন্য আরো ঘটনা?)
এতক্ষণ পর্যন্ত যে মহাবিশ্বগুলোর কথা বললাম তাদের ইনিশিয়াল কন্ডিশন (initial condition) অর্থাৎ শুরুটা কিন্তু একই ছিল অর্থাৎ বিগ ব্যাং। এবার চিন্তা করুন এমন দুটি মহাবিশ্ব গুচ্ছ যাদের একটি গুচ্ছ বিগ ব্যাং থেকে শুরু হয়েছে কিন্তু অন্য গুচ্ছটি অন্য কোন ঘটনার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। অর্থাৎ দু'টি মহাবিশ্ব গুচ্ছের শুরু এবং ইনিশিয়াল কন্ডিশন আলাদা। এক্ষেত্রে আপনি এক মহাবিশ্ব গুচ্ছ থেকে অন্য মহাবিশ্ব গুচ্ছে যে শর্ট কাট ওয়েতে যেতে পারবেন, সেটা হল ৭ ডাইমেনশন। লক্ষ্য করুন, ৫ এবং ৬ ডাইমেনশনের ক্ষেত্রে শুরুর শর্তাবলি (initial conditions) একই ছিল কিন্তু পরবর্তী ঘটনাগুলো ছিল আলাদা আর ৭ ডাইমেশনের ক্ষেত্রে কিন্তু সময়ের শুরু থেকেই সব আলাদা। এটাই মূলত ৫ এবং ৬ ডাইমেনশনের সাথে ৭ ডাইমেনশনের পার্থক্য।
৮ম ডাইমেনশন : (মাল্টিভার্স)
৮ ডাইমেনশনের ক্ষেত্রে আপনি ৭ ডাইমেনশনে বর্ণিত বিভিন্ন ইনিশিয়াল কন্ডিশন থেকে শুরু হওয়া মহাবিশ্বগুচ্ছ-গুলিতে সময়ের আগে পিছে যে কোন দিকে ভ্রমণ করতে পারবেন। ৮ ডাইমেনশন থেকেই মূলত মাল্টিভার্সের (multiverse) ধারণা চলে আসে।
৯ম ডাইমেনশন : (সুপার মাল্টিভার্স)
৯ ডাইমেনশন ব্যবহার করে আমরা সকল ভিন্ন ভিন্ন মহাবিশ্বকে একটি অপরটি থেকে আলাদা করতে পারি যারা সম্ভাব্য সব ভিন্ন ভিন্ন ফিজিক্সের সূত্রানুযায়ী এবং ভিন্ন ভিন্ন ইনিশিয়াল কন্ডিশন থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। এখান থেকেই সুপার মাল্টিভার্সের (super multiverse) ধারণার অবতারণা করেন বিজ্ঞানীরা।
১০ম ডাইমেনশন :
১০ ডাইমেনশনে এসে আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌছে যাই যা আমাদের কল্পনীয় সব কিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করে। এর পরে আর আমাদের মত প্রাণীদের দ্বারা কিছুই কল্পনা করা সম্ভব হয় না। এক কথায়, ডাইমেনশনের ধারণা ব্যবহার করে এর বাইরে আর আমাদের কিছুই কল্পনার থাকে না (it covers EVERYTHING we can imagine!)।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, যদি আমরা এই ১০ ডাইমেনশনে বাস করতে পারতাম, তাহলে আমরা আমাদের সবকিছুকেই কন্ট্রোল করতে পারতাম : আমাদের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, যা কিছু আছে সব! We would have infinite power then!
লেখক : Ripan Biswas
রেফারেন্স : https://phys.org/news/2014-12-universe-dimensions.amp