মাটির ভেতরের গর্তে থেকে দিন-রাত এক করে কেঁচোরা নানা জৈব উপাদানকে ভেঙে ভেঙে মাটির খুব দরকারি পুষ্টি উপাদানে পরিণত করে। তারাই আমাদের গ্রহের মাটির রিসাইকেলের এই অবিশ্বাস্য কাজটি করে থাকে।
মাটির ভারসাম্য ঠিক না থাকলে পুরো প্রাণীকূল একদিন ধ্বংস হবে। পঞ্চমহাভূতের (ভূমি, জল, বায়ু, অগ্নি, শূণ্য) অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ভূমি/মাটি। যদিও বর্তমানে শহুড়ে মডার্ন সোসাইটির ছেলে মেয়ে হিসেবে আমরা মাটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। পায়ে সামান্য মাটি লাগলেই কেমন অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করি। কিন্তু, বৈজ্ঞানিকভাবে এটাই সত্যি যে, কিছু সময় মাটির সংস্পর্শে থাকা ভালো। শুধু মাটি না। জল, মাটি, সূর্যের আলো এসবের সংস্পর্শে আসা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এজন্যই দেখবেন শারিরীক সুস্থতা, প্রাণোচ্ছলতা ইত্যাদি দিক দিয়ে একজন গ্রামের ছেলে/মেয়ে আর শহুড়ে ছেলে/মেয়ের মধ্যে কত ভিন্নতা। কারণ, আমাদের এই শরীর প্রকৃতিরই অংশ। তাই প্রকৃতির সংস্পর্শে এটা যত এক্টিভ থাকে প্রকৃতি থেকে দূরে গেলে ততই নিষ্ক্রিয় হতে থাকে।
লেখক : বাঁধন ধর