এটি মূলত মুখের স্নায়ুর রোগ। রামসে হান্ট সিন্ড্রোম যে ভাইরাসের দ্বারা হয় সেই একই ভাইরাস চিকেন পক্সেরও কারণ। চিকেন পক্স থেকে সেরে ওঠার পর এই ভাইরাসটি আপনার স্নায়ুতে থেকে যেতে পারে। বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে সক্রিয় হয়ে উঠে এই ধরনের বিরল রোগের জন্ম দেয়। এই রোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মুখের স্নায়ু। এর ফলে মুখের একটি অংশ বেঁকে যায়। চোখের পাতা শিথিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা না শুরু হলে পুরোপুরি বধির হয়ে য়াওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
এই রোগের উপসর্গগুলি কী কী?
১) কানের ভিতরে এবং বাইরে ফোস্কা সহ লাল ফুসকুড়ি।
২)কানের ব্যথা।
৩) চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা।
৪) চোখ ঘোরানা ও নড়াচড়ার অনুভূতি হ্রাস পাওয়া।
৫) স্বাদের পরিবর্তন।
৬) স্বাদের অনুভূতি হ্রাস পাওয়া।
@আনন্দবাজার পত্রিকা
চিকিৎসা কী কী?
-স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয় অনেক সময়, যেমন প্রিডনিসোন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ড্রাগ। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, যেমন অ্যাসাইক্লোভির বা ভ্যালাসাইক্লোভির দেওয়া হয় অনেক সময়।
কখনও কখনও স্টেরয়েড দিয়েও ব্যথা অব্যাহত থাকলে শক্তিশালী পেইনকিলার ওষুধেরও প্রয়োগ করা হয়। মুখের দুর্বলতা থাকাকালীন, চোখ পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ার পর কর্নিয়াতে আঘাত যাতে না লাগে, তার জন্য চোখের প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাতে চোখের লুব্রিকেন্ট এবং দিনের বেলায় টিয়ারড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে চোখ শুকিয়ে না যায়। মাথা ঘোরার উপসর্গ থাকলে, সেই ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়।