অ্যাসপারজার সিন্ড্রোম (Asperger Syndrome) সাধারণত অ্যাসপারজার'স (Asperger's) হিসেবেও পরিচিত। এটি একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। মূলত সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া (Social interaction), ননভার্বাল কমিউনিকেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা ; সেইসাথে কোনো মানুষ বা জিনিস তথাপি কোনো কিছুর প্রতি পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ দেখেই এই সিন্ড্রোম শনাক্ত করা হয়।
অ্যাসপারজার সিন্ড্রোম একটি বংশগতি রোগ। জেনেটিক্যালি এই ডিজঅর্ডার হয়ে থাকে কিন্তু কোন জিন এর ডিফেক্ট এর কারনে এই ব্যধিটি হয়ে থাকে তা এখনো অজানা। তবে ধারণা করা হচ্ছে পিতা-মাতা থেকেই এই রোগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
যাই হোক, পূর্বে ডাক্তাররা এটিকে আলাদা কোনো ডিজঅর্ডার হিসেবে বিবেচনা করতেন। তবে ২০১৩ সালের পর এটিকে Autism Spectrum Disorder (ASD) এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেহেতু এটি একটি মানসিক সমস্যা সেহেতু এই ব্যধিতে আক্রান্ত শিশু/ব্যক্তির মধ্যে কিছু লক্ষ্মণ দেখা যায়। তা হলো - তারা কোনো মানুষ বা কিছুর প্রতি আই কন্টাক্টে (Eye contact) অক্ষম, এমনকি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা যেতে চায় না বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসুবিধা অনুভব করে এবং কারও কথার প্রত্যুত্তরে কি বলতে হবে সেটিও তারা ঠিকমতো বলতে পারে না।
এছাড়াও কোনো কিছুর প্রতি তাদের আবেগ/ইমোশন খুব কম থাকে, তারা সহজে হাসে না। তাদেরকে বরং রোবট হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় (kind of)।
ডায়াগনোসিসঃ
এরকম সমস্যা হলে বাচ্চাকে অবশ্যই সাইকোলজিস্ট, সাইকেয়াট্রিস্ট, পিডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট ও ডেভেলপমেন্টাল পিডিয়াট্রিসিয়ান এর কাছে নিয়ে যেতে হবে।
ট্রিটমেন্টঃ
প্রত্যেক শিশুই কোনো না কোনো দিক দিয়ে ব্যতিক্রম এবং একেক জন একেক রকম আচরণ করতে পারে।
তাই কিছু ট্রিটমেন্ট দেওয়া যেতে পারে-
১. সোশ্যাল স্কিলস ট্রেইনিং
২. স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি
৩. কগনিটিভ বিহাভিওরাল থেরাপি
৪. প্যারেন্ট এডুকেশন এন্ড ট্রেইনিং
তবে, মেডিসিনাল ট্রিটমেন্ট এর জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে করাতে হবে।
Reference: https://www.webmd.com/brain/autism/mental-health-aspergers-syndrome