পুরুষাঙ্গ এবং উরুসন্ধি কালো হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই হতাশা দেখা দেয়। বিশেষ করে এশীয়দের মধ্যে। যার কারণে দক্ষিণ এশিয়া এসব ক্রিম, মলম বেশি ব্যবসা চলে। তবে এটা মোটেই উদ্বেগজনক কিছু না। শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় পুরুষাঙ্গ এবং উরুসন্ধির রং তুলনামূলক গাঢ়
হয়। অঞ্চলভেদে এর হার বেশি বা কম হতে পারে। পুরুষাঙ্গের আশেপাশে মেলানিনের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে, গায়ের রং ফর্সা হলেও পুরুষাঙ্গ এবং উরুসন্ধি কালো হয়ে থাকে। তাই মুখের তুলনায় পুরুষাঙ্গ কালো হওয়ায় চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তবে পর্নে যা দেখানো হয় তার বেশিরভাগই এডিট করা এবং মেকাপ করা। তাই সেগুলো দেখে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার জন্য উঠে পড়ে লাগার কোনো কারণ নেই। নিয়মিত পরিষ্কার করলে, শেভিংয়ের বদলে ট্রিমিং করলে ভালো থাকবে। তাহলে বিভিন্ন ক্রিমের বিজ্ঞাপন দেয়, সেগুলো আসলে কী?
এগুলো আসলে ব্যবসায়িক ধান্দা ছাড়া কিছুই না। মনে রাখবেন, এখনো পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার কোনো সুস্থ্য পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। আর ইউটিউবে / বিভিন্ন সাইটে দেখানো ঘরোয়া পদ্ধতি কোনো কাজে দেয় না। যদিও সম্প্রতি থাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার ট্রিটমেন্ট চালু হয়েছে, তবে তাতে রয়েছে ক্যান্সারের সম্ভবনা। তবে হঠাৎ করেই পুরুষাঙ্গের রং ফর্সা/ পরিবর্তিত হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সেটা রোগের কারণে হতে পারে।
অনলাইনে অফলাইনে যত জায়গায় যৌনাঙ্গ ফর্সা করার ক্রীম, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার ওষুধ, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার উপায়, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার টিপস, কীভাবে যৌনাঙ্গ ফর্সা করা যায়,ফর্সা যৌনাঙ্গ, গোপনাঙ্গ ফর্সা করার টিপস, গোপনাঙ্গ ফর্সা করার ক্রীম, গোপনাঙ্গ ফর্সা করার ওষুধ টাইপের বিজ্ঞাপন দেখবেন সব আজাইরা। এগুলো ব্যবসায়িক ধান্দা ছাড়া কিছুই না। "ওই ধরণের গোপনাঙ্গ বৃদ্ধি যৌনাঙ্গ ফর্সা ইত্যাদি বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান" এগুলোও ব্যবসায়িক ধান্দা।
সর্বোপরি, পুরুষাঙ্গ ফর্সা/কালো হওয়াটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। এটা নিয়ে ডিপ্রেশনে যাওয়ার কিছু নেই।
-হায়াত মোহাম্মাদ ইমরান | সায়েন্স বী