১. মানুষ কেনো রান্না করে খায়:
: সভ্যতার আদিতে মানুষ রান্না না করেই খেতো। এতে খাবারে থাকা রোগজীবাণুতে আক্রান্ত হতো, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতো। আগুন আবিষ্কারের পর দেখলো, খাদ্য রান্না করে খেতে সুস্বাদু বেশি। আবার এতে বিষক্রিয়া, রোগজীবাণু থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। তাই রান্না করে খেতো।
২. অন্যান্য প্রাণীর কি খাদ্যে বিষক্রিয়া বা রোগজীবাণু থাকতে পারে না?
: পারে। উদ্ভিদজ খেয়ে যারা বেঁচে থাকে, উদ্ভিদের যদি বিষ থাকে, কোনোরোগে আক্রান্ত থাকে, তাহলে সেই প্রাণীর শরীরের এন্টিবডি যদি তা প্রতিরোধে সক্ষম হয় তবে তার কিছু হবে না। কিন্তু যদি তার সেই যোগ্যতা না থাকে তাহলে সেও আক্রান্ত হবে।
প্রাণীজ উৎস থেকে যারা খাদ্য খায়, যাদের আমরা বলি মাংসাশী তাদের এই রিস্ক বেশি। সহজেই শিকারের শরীরে থাকা জীবাণু থেকে তাদের রোগ হতে পারে।
তাছারা বনেজঙ্গলে যেসব প্রাণী এসব রোগে মারা যাচ্ছে তার রেকর্ড ঠিক কতটুকুই বা রাখা হয়, আর তা পাবলিকের সামনে প্রচার করাও গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয় না, কেননা তারা এভাবে মারা যাবে এটা আমাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়।
৩. তাহলে তাদের রান্না করে খাওয়ানো হয় না কেনো?
: তারা নিজেরা রান্না করতে পারে না। মানুষ সকলের দায়িত্ব নিতে পারবে না। আবার সকল প্রাণীর টেস্টবাড বা জিহবায় থাকা স্বাদগ্রাহক কোষ ভিন্ন। তাই প্রাণীরা রান্না করা খাবার পছন্দ করবে না। অনেক প্রাণী মশলা দেয়া খাবার খেতে পারে না। আবার রান্নায় যোগ করা অতিরিক্ত যা থাকে তা অনেক প্রাণীর হজম করার জন্য এনজাইমের কার্যকরীতার বাইরে।
৪. বিদেশে যারা প্রাণী পালে তারা তো সরাসরি কাঁচা মাংস খেতে দেয়
: তাদের ওখানে নিশ্চিত করা হয় কাঁচা মাংসটি জীবানুমুক্ত। যারা বিড়াল পালে তারা জানে বিড়াল কাঁচা মাছ মাংস খেতে পছন্দ করে, কিন্তু যেহেতু কাঁচা মাছ মাংস কতটুকু নিরাপদ তা নিশ্চিত করা সম্ভব না তাই তাকে হালকা সিদ্ধ করে খেতে দেয়া হয়।
সংক্ষেপে: প্রাণীরা যা খায় তা হজম করার জন্য তাদের কার্যকরী এনজাইম আছে, অত্যাবশ্যকীয় রোগপ্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন তারা তাই সরাসরি খেতে পারে। তাদের স্বাদগ্রাহক কোষ আলাদা।
তাদের পাকস্থলিতে শক্তিশালী এসিড থাকায় ক্ষতিকর রোগজীবাণু থেকে সুরক্ষিত থাকে।
সোর্স:
১. https://www.somatechnology.com/blog/tuesday-thoughts/why-can-certain-animals-eat-raw-meat-but-humans-cannot/