আগে ছোট্ট একটা তথ্য বা পরিসংখ্যান দিই //
প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে পায়রাকে বার্তাবহ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। সাধারণত গুপ্তচররা এই ধরনের পায়রা ব্যবহার করতো। আর এই পায়রাগুলো কে রাখা হত আলাদা ভাবে চিহিত করে। এইসব পায়রাগুলো ছিল মূলত ওড়ানোর জন্য। প্রশিক্ষণ তো দেওয়া হতই।
এবার আসি উত্তরে। প্রশ্নটা বেশ মজার। সত্যিই তো!! ভাববার কথা বটে //
পায়রার মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করতে পায়রার একটি বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্যের সাহায্য নেওয়া হয়। পায়রা কে যেখানেই ছেড়ে দেওয়া হোক না কেন পায়রা ঠিক পথ চিনে নিজের বাসস্থানে চলে যেতে পারে।
এখন কথা হল, আপনি যেমন ভাবছেন, পায়রা দিয়ে চিঠি পাঠানো আজকালকার দিনের মেইল সার্ভিসের মত একেবারেই নয়। আপনি পায়রার পায়ে চিঠি বেঁধে বললেন "যা ব্যাটা পায়রা, অমুক জায়গায় অমুক ঠিকানায় চিঠি পৌঁছে দিয়ে আয়" আর পায়রা ওই ঠিকানায় চিঠি দিয়ে আসবে — এমনটা নয়। জেনে রাখুন, যাকে চিঠি পাঠাচ্ছেন, পায়রাটা তারই হতে হবে।
মনে করুন, আমি ঢাকা গিয়েছি। সেখান থেকে ঢাকার অবস্থা আমি কলকাতার এক বন্ধুকে জানাবো। এজন্য আমাকে ওই কলকাতার বন্ধুর পায়রা নিয়ে যেতে হবে। ঢাকার অবস্থা লিখে ঢাকা থেকে পায়রা টি ছেড়ে দিলে সে ঠিক কলকাতায় বন্ধুর কাছে পৌঁছে যাবে। এই হল পায়রার মাধ্যমে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া।
বেশ মজার তাই না !!!
আরো নতুন ও মজার তথ্য পাবেন এখানে কবুতরের সম্পর্কে সাধারণ তথ্য
পূর্বে গোয়েন্দা বাহিনীর বা সেনাবাহিনীর কাছেও এইধরনের কবুতরখানা থাকত। গুপ্তচরবৃত্তির সময় পর্যবেক্ষণ কালে এইসব গুপ্তচররা পায়রা নিয়ে বেরত। এরপর খবর লিখে চিঠি পায়ে বেঁধে পায়রাগুলো কে ছেড়ে দিত। পায়রা নিজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নিজের বেস ক্যাম্পে ফিরে আসত।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পেরেছি।
@Sarthak-Basak