ঘুমের সময় আমরা ঘুমালেও আমাদের ব্রেইন কিন্তু ঘুমায়না। বরং যখন দিনে আমরা জেগে থাকি তার দ্বিগুণ কাজ করে ব্রেইন এই সময়। দিনে যখন আমরা মানুষের সাথে ইন্টের্যাক্ট করি, কথা বলি বা পড়াশোনা করি তখন প্রচুর পরিমাণে ইনফরমেশন ব্রেইন এ জমা হয়। যখন আমরা টায়ার্ড হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি তখন আমাদের ব্রেইন যেহেতু নতুন কোন ডাটা কালেক্ট করেনা তখন সারাদিনে যেসব অপ্রয়োজনীয় ডাটা মাথায় ঢুকেছে সেগুলোকে ক্লিন করতে থাকে। এজন্য ঘুম থেকে উঠার পর অনেক কিছুই মনে থাকে না তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এমনটি না ঘটলে বিভিন্ন ব্রেইন রিলেটেড ডিজঅর্ডার যেমন অ্যালজ-হেইমার ইত্যাদি বেড়ে যেত। এছাড়া এটা রাতে রেচনের মত একটি ক্লিনিং ফাংশন হিসেবেও কাজ করে। লিভারে জমে থাকা টক্সিন বা পয়জন ইত্যাদি ডিটেক্ট করে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে |
আর ঘুমের সময়েও আমাদের বোধ শক্তি থাকে। একটা উদাহরণ দেই। আপনি ধরুন আজকে রাত ১২ টায় ঘুমিয়ে পড়লেন এবং ঘুমানোর আগে প্রতিজ্ঞা করলেন যে আপনি পরদিন ৭ টার সময় উঠবেন কারণ আপনার সকাল ৮ টায় ইন্টারভিউ। খেয়াল করে দেখবেন অদ্ভুতভাবে কোন প্রকার অ্যালার্মের সাহায্য ছাড়াই একদম ৭ টায় আপনার ঘুম ভেংগে গেছে। এর কারণ হচ্ছে বায়োলজিক্যাল ক্লক। ব্রেইন কাজ করে বলেই আমরা জেগে যাই। এজন্য যারা ফজরের নামাজ নিয়মিত পড়েন তাদের ঘুম আজানের সময় বা আগে নিয়মিত ভেংগে যায় |