ঈশ্বর পাশা খেলে না" এই উক্তির পিছনে আইনস্টাইনের পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা ও আবেগ জড়িয়ে আছে ।
আইনস্টাইন আসলে বুঝাতে চেয়েছেন "ঈশ্বর মহাবিশ্বের বড় বড় বস্ত তাদের জন্য এক ধরনের নিয়ম এবং ছোট কণাদের জন্য ভিন্ন নিয়ম দিয়ে মহাবিশ্বকে সাজাবে না ।"
1.তিনি মনে করেন পদার্থ বিজ্ঞান সম্ভবনা ভিত্তিক হবে না ।
2.মহাবিশ্বের সমস্ত ঘটনা পূর্বনির্ধারিত যা গণিতের মাধ্যমে বাখ্যা করা যায়
3.নিউটনের সূত্র, আপেক্ষিক তত্ব দিয়ে যেমন বৃহৎ বৃহৎ বস্তর ভবিষৎ অবস্থা বাখ্যা করা যায় ঠিক তেমনি কণাদের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো সূত্র থাকবে সেটা দিয়ে কণার ভবিষৎ অবস্থা বাখ্যা করা যাবে ।
অথচ কোয়ান্টাম মেকানিক্স উল্টো ঘটনা ঘটে ।কোয়ান্টাম মেকানিক্স আইনস্টাইন মেনে নিতে পারে নেই ।কিছু কিছু ঘটনা ঘটার কারণে আইনস্টাইন " ঈশ্বর পাশা খেলে না " বলতে বাধ্য হইছে ।
১. দ্বিচর পরীক্ষা কোনো ডিটেক্টর না থাকলে একটা ইলেকট্রন একই সাথে সব ছিদ্র দিয়ে যায় কিন্তু ডিটেক্টর বসালে যেকোনো একটা একটা পথ বেছে নেয় ।
২.নিউক্লিয়াসের চারপাশে ইলেকট্রন ঘুরার সময় একই সাথে সব জায়গা থাকে ।কোথায় পাওয়া যাবে সেটা আমরা জানি না আমরা যা জানি সেটা শুধু সম্ভবনা ইলেকট্রন কোথায় থাকতে পারে তার সম্ভবনা।
3. ইলেকট্রন কণা নাকি তরঙ্গ সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর ।আপনি ইলেকট্রনকে কণা হিসাবে চান নাকি তরঙ্গ ।যা হিসাবে দেখতে পারবেন তাই আপনি দেখবেন ।
4.আইনস্টাইন এগুলো হজম করতে না করতে হাইসেনবার্গ এসে অনিশ্চয়তা নীতি দিয়ে আঘাত করলো ।অনিশ্চয়তার নীতির মূল কথা কোনো বস্তুর একই সাথে অবস্থান এবং ভরবেগ মাপতে পারবো না ।একটা নিখুঁত ভাবে মাপলে অন্যটা অনিশ্চয়তা হয়ে যাবে ।
5.সোডিঙ্গার বিড়াল নিয়ে আসলো ,বিড়াল বলে অর্ধেক মৃত্যু আর অর্ধেক জীবত ।অর্থাৎ একই সঙ্গে বিড়াল জীবত এবং মৃত্যু ।
6.আকাশে তাকালে চাঁদ আছে না তাকলে চাঁদ নেই ।এতসব উদ্ভট আইন কোয়ান্টাম মেকানিক্সে তাই আইনস্টাইন মনে করতো কোয়ান্টাম মেকানিক্স অসম্পূর্ণ
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের হিরোরা আইনস্টাইনকে বার বার যুক্তি-তর্কতে হারিয়ে দিয়ে অদ্ভুত জগৎ তৈরি করলো পদর্থবিজ্ঞানের পাতা আর আইনস্টাইন সেগুলো মানতে পারেনি তাই শেষে ক্ষোভে বলছে god doesn't play dice"