জীবনের একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। স্থূলকায় হওয়ার কারণে শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়। তাই ওজন কমাতে ডায়েট প্ল্যান নিতে হয়। অনেকে কিটো ডায়েট করেন। কেউ আবার স্বাস্থ্যকম খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
অনেকে খাবার কম খেয়ে ব্যায়াম করে শরীরের মেদ কমান।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আপনার ওজন কমাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তবে এমন উপায়ও রয়েছে, যাতে আপনি কম ডায়েট করে এবং পুরোদমে খাবার খেয়েও ওজন কমাতে পারেন।
বিজ্ঞানসম্মত এমন তিনটি সহজ উপায় নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার পরিহার
বেশি ক্যালোরির কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবারের বদলে শস্য থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়া হচ্ছে ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায়। অর্থাৎ সাদা আটা থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
এটি আপনার ক্ষুধার মাত্রা কমাবে। কার্ব-ডায়েট করার সময় দেহশক্তির জন্য শর্করার বদলে আপনার শরীরের সঞ্চিত ফ্যাট ব্যবহার করবে।
লাল আটা থেকে উৎপাদিত খাবার আপনার শরীরে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে খাবার ধীরে ধীরে হজমে সহায়তা করে। ফলে আপনার ক্ষুধা কম লাগবে। শস্যদানা থেকে উৎপাদিত খাবার খেলে ফ্যাটযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমবে।
প্রোটিন, ফ্যাট ও শাকসবজি খাওয়া
ওজন কমানোর বড় দাওয়াই হচ্ছে সবুজ শাকসবজি। বেশি করে শাকসবজি আপনাকে স্বাস্থ্যকর থাকতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি পুষ্টিতে ভরপুর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত হয়।
কম ক্যালোরি, পুষ্টিগুণযুক্ত সবুজ শাকসবজির মাঝে অন্যতম হচ্ছে ব্রোকলি, ফুলকপি, শাক, টমেটো, কেল, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, বাঁধাকপি, সুইস চারড, লেটুস ও শসা।
এ ছাড়া সব ফ্যাট খারাপ হয় না। আপনার দেহের মসৃণভাবে কাজ করতে চর্বিযুক্ত খাবারেরও প্রয়োজন। তাই আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অলিভ অয়েল এবং অ্যাভোকাডো অয়েল বেছে নিতে পারেন।
আবার নারিকেল তেল ও মাখনের মতো চর্বিগুলোতে পর্যাপ্ত ফ্যাট থাকে। তাই এগুলো পরিমিত ব্যবহার করা উচিত।
ব্যায়াম
স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম আপনার ওজন দ্রুত হ্রাস করতে সহায়তা করে। ভারোত্তোলন ব্যায়াম ওজন হ্রাস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করার ফলে সেটি আপনার বিপাক ক্রিয়া বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা ওজন হ্রাস করতে কার্যকরী। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম শরীরচর্চা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করবে।