⭕বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর কারনে মারা যায় প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ
এন্টিবায়োটিক কি?
এমন একটি ড্রাগ যা ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক ধ্বংস করে দেয় কিংবা তাদের বংশবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে। একটি নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের উপর কাজ করে।
ভাইরাসের উপর এন্টিবায়োটিক এর কোনো প্রভাব নেই
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কি?
যখন কোনো ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে তখন ওই ব্যাকটেরিয়ার উপর এন্টিবায়োটিক কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না।
এই অবস্থাকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলে
কিভাবে তৈরি হয় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স??
দুইভাবে হতে পারে এই রেজিস্ট্যান্স।
১) প্রাকৃতিক ভাবেঃ
➡️জিনগত পরিবর্তনঃ ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের জিন এ যখন মিউটেশন ঘটে কিংবা জিনের গঠনে পরিবর্তন আসে তখন পূর্বের এন্টিবায়োটিক আর কাজ করে না
➡️যদি কোনো রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া অন্য কোনো মানুষ বা প্রানীকে আক্রান্ত করে তখন ওই ব্যাকটেরিয়াগুলোর উপর এন্টিবায়োটিক কাজ করবেনা
রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়ার পরবর্তী জেনারেশন এর ব্যাকটেরিয়াগুলো ও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হিসেবেই বাড়তে থাকে
২) মানবসৃষ্ট কারণঃ
➡️যদি এন্টিবায়োটিক এর ডোজ কমপ্লিট না করে তাহলে সব ব্যাকটেরিয়া মারা যায় না। বেচে যাওয়া ব্যাকটেরিয়া গুলো এন্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে ফেলে এবং নির্বিঘ্নে বংশ বিস্তার করতে থাকে।
পরবর্তীতে এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অন্য কেউ আক্রান্ত হলে এন্টিবায়োটিক কাজ করে নাহ
➡️ প্রয়োজন ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহন করা
➡️অল্প সর্দিকাশি, জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া
➡️একাধিক এন্টিবায়োটিক খাওয়া
➡️সময় মত এন্টিবায়োটিক না খাওয়া যার কারনে ব্যাকটেরিয়ার গুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়
করণীয়ঃ
সময় মত মেডিসিন নেয়া
ডোজ কমপ্লিট করা
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক না নেয়া
একজনের মেডিসিন আরেকজনকে না দেয়া
Collected From 20 Minute Medical