প্রিয়জনের মৃত্যুর শোক কিভাবে ভুলা যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
772 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (140 পয়েন্ট)
প্রিয় জনের মৃত্যুর শোক কিভাবে ভুলা যায়?

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (15,200 পয়েন্ট)
যখন আমরা কোনও ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ শুনি, আমাদের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয় দুঃখ বা নিরানন্দ অনুভব করা। মানুষ অনেক প্রকার প্রতীকী বিচ্ছেদে তীব্র শোকাবিষ্ট হয় যেমন

 

বিবাহ–বিচ্ছেদ, অপরিণত ভালবাসা, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া বা প্রিয়জনের মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে জানতে পারা। এই ধরনের দুঃখ জটিল আবেগের সৃষ্টি করে যেটি সেই বিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। গভীর দুঃখের সম্মুখীন হয়ে তার সঙ্গে যথাযথভাবে মানিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন কিন্তু এটি একটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া। যাইহোক, একজন কীভাবে বা কতক্ষণ মর্মযন্ত্রণাহত হয়ে থাকবে তার তেমন কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।

 

গভীর শোকের সময়ে যে অনুভূতিসমূহের অভিজ্ঞতা হয় –

 

দুঃখ, বিষণ্নতা বা নিরানন্দ

 

আকস্মিক মানসিক আঘাত - যখন মৃত্যু বা বিচ্ছেদ আকস্মিক বা অস্বাভাবিক হয় তখন এই অসহ্য আঘাত অনুভূত হয়।

 

অপরাধবোধ – যখন জীবিত বন্ধু বা আত্মীয় অনুভব করে যে তারা সেই পরিস্থিতিটিকে এড়ানোর জন্য হয়ত কিছু করতে পারত।

 

একাকীত্ব - কোনও অন্তরঙ্গ বা ঘনিষ্ঠ বা সুপরিচিত জনকে হারিয়েছে বন্ধু বা আত্মীয় এইরকম অনুভব করে। এইরকম সেইসব ক্ষেত্রে ঘটে যেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিটি মৃত বা সম্প্রতি মৃত ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল এবং তাঁকে অবলম্বন করবার মত তাঁর সঙ্গে কিছু সম্পর্ক ছিল।

 

রাগ বা হতাশা – কিছু জন মৃত ব্যক্তির ওপর রাগ অনুভব করতে পারেন, এই ভেবে যে তিনি তাদের প্রতারিত করেছেন বা হঠাৎ পরিত্যক্ত হয়ে হতাশাবোধ করতে পারে।

 

শোকের সম্মুখীন হওয়া

 

শোক যন্ত্রণাদায়ক কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যকে পুনরুদ্ধার করতে এটি দরকারী। সাংস্কৃতিক বা রীতিনীতিগত প্রথা অনুশীলন এবং অনুষ্ঠান সমূহও মানুষকে শোক প্রকাশ করবার ও কষ্টের সমাপ্তির একটা সুযোগ দেয়। প্রত্যেক মানুষ অনন্য এবং তার শোকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ধরণও আলাদা। যে মানুষ শোকের সম্মুখীন তাকে তিনটি বিবিধ প্রকারের দৃষ্টিকোণের সম্মুখীন হতে হয় -

 

মৃত ব্যক্তিটি আর আশেপাশে নেই। ব্যক্তিটি শোকের অঙ্গ হিসাবে সেই মৃতের সঙ্গলাভ করবার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে।

 

জীবিত ব্যক্তির মিশ্র অনুভূতি হয়। প্রত্যেক ব্যক্তির শোকের স্বতন্ত্র অনুভূতি বিবিধ প্রকারে অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

 

যে পরিস্থিতিতে মৃত্যু ঘটেছিল – সেটি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক।

 

কখনও কখনও পরিশেষে আমরা তাদের অনুভূতিকে অগ্রাহ্য করি বা কৈফিয়তের দ্বারা দোষ-ত্রুটিকে প্রশমিত করে কথা শেষ করে দি এবং এমনকি খুব হাল্কাভাবে সেইসব ঘটনাসমূহের সম্পর্কে কথা বলি। যখন একজনের জীবনপথে এগিয়ে চলা অত্যাবশ্যক হয়, তখন তাকে শোক করবার জন্য কিছু সময় দেওয়া সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। যখন স্পষ্টভাবে শোক প্রকাশিত হয় না, তা শারীরিক বা মানসিক যন্ত্রণার রূপ নেয়। উদাহরণস্বরূপ –

 

যখন রাগ এবং বিপরীতধর্মী ভাবনার প্রসঙ্গ স্বীকৃত বা প্রকাশিত না হয় তখন তা শোকের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থায় পরিণত হয় যেখানে জীবিত ব্যক্তি তীব্রভাবে মৃত ব্যক্তিকে আগ্রহসহকারে আকাঙ্ক্ষা করে বা মৃত্যুটিকে স্বীকার করতে সমস্যাবোধ করে। সেই একই ক্রোধ যখন অন্তর্মুখী হয় তখন তা হতাশার সৃষ্টি করে।

 

যে সকল লোকেরা আগাগোড়াই মর্মাহত তারা শোকের দ্বারা অভিভূত হতে পারে যা মানসিক অসুস্থতা বিশেষত অবসাদকে বাড়িয়ে দেয়।

 

কেউ কেউ শোকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নেশার দ্রব্যাদির ব্যবহার করে।

 

অন্যের মৃত্যু নিজের সামনে ঘটতে দেখে অনেকেরই নিজেদের মরণশীলতা সম্পর্কে আকস্মিক সচেতনতা বেড়ে যেতে পারে যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ ঘটাতে পারে। যখন উদ্বেগের অনুভূতি এত বেশী মাত্রায় এবং সময় ধরে হয় তখন ডাক্তারি সাহায্য নেওয়া উচিৎ।

 

মানুষের পক্ষে এটি জরুরী যে শোকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে উপলব্ধি করা, সেটিকে অস্বীকার বা অপ্রকাশিত না করা। শোকবিষয়ক পরামর্শ বা উপদেশ শোকপ্রক্রিয়াকে সহজতর করতে সাহায্য করে। এতে আবেগকে সনাক্ত করা সহজ হয়ে যায়, সেই আবেগকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর ও গ্রহণযোগ্য আচরণ করতে সাহায্য করে।

 

প্রিয়জনের মৃত্যুর সাথে মানিয়ে নেওয়ার কিছু পথ বা উপায় –

 

সেই ব্যক্তিটির সঙ্গে সম্পর্কিত সংগৃহীত ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে তার অতীত জীবনের ভাল মুহূর্তগুলো ফিরে দেখুন। এগুলি সেই ব্যক্তির স্মৃতিচারণায় সাহায্য করে এবং সেই ব্যক্তি সম্পর্কিত আবেগ আর অনুভূতিকে প্রকট করতেও সাহায্য করে।

 

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং স্মরণীয় ঘটনা বা জিনিস বাছাই করতে করতে কোনটা সে রাখতে চায় আর কোনটাকে রাখতে চায় না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

 

লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং এমন একজনের সঙ্গে কথা বলা যাকে শোক ও বিচ্ছেদ সম্পর্কে বলা যায়।

 

ডায়রিতে মনের কথা লিখে ব্যক্ত করলে তা সাহায্যকারী হয়।

 

তৎক্ষণাৎই নিত্য জীবনযাত্রায় ফিরতে হয়ত ইচ্ছা করবে না – কিন্তু এটি গুরুত্বপূর্ণ যে দৈনিক কাজের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরে যাওয়া।

 

সাংস্কৃতিক আচারবিধির অনুসরণ করে সান্ত্বনা পাওয়া যেতে পারে এবং একজনের মানসিক স্বাস্থ্যে তার ইতিবাচক প্রভাব হয়।

 

একজন ব্যক্তি সেই রকম বিচ্ছেদের আধ্যাত্মিক অর্থও ভাল করে উপলব্ধি করতে পারে। কখনও কখনও আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে একজন ক্ষতিমূলক ঘটনার বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে সমর্থ হয়।

 

এই প্রবন্ধটি নিমহ্যান্সের ক্লিনিকল সাইকোলজি বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর ডঃ বীণা এ এস–র থেকে পাওয়া তথ্যর ভিত্তিতে লেখা হয়েছে।
0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)

দুঃখ দূর করার উপায় বলার আগে কিছু কথা বলে নেয়া প্রয়োজন। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা খুবই মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন – কিন্তু তাঁরা জীবনে কিছুই করতে পারেননি। কারণ, এদের কেউ কেউ নিজের দুঃখকে কাটিয়ে উঠতে পারেননি।  কিছু দুঃখ দূর করা যায় না। খুব কাছের প্রিয়জনের অসময়ে চলে যাওয়ার মত দুঃখ ভোলাটা কঠিন। সত্যিকার দু:খ আসলে ভোলা যায় না। কিন্তু তাকে কাটিয়ে ওঠা যায়। তাকে হয়তো পুরোপুরি দূর করা যায় না – কিন্তু তাকে সাথে নিয়েও জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়।

এটা নিয়ে পড়ে থাকলে নিজের পাশাপাশি নিজের কাছের মানুষগুলোরও ক্ষতি হয়। নিজের অপার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। আর কিছু দুঃখ তো একেবারেই অযৌক্তিক। যেগুলো নিয়ে এক মিনিট পড়ে থাকা মানে সেই মিনিটটি নষ্ট করা। আবার কিছু মানুষ আছেন, মনে দুঃখ থাকলেও স্বীকার করতে চান না। এমনকি নিজের কাছেও নিজে এটা মানতে চান না। এরা দু:খকে অস্বীকার করে সব সময়ে হাসিখুশি থাকার অভিনয় করেন। – এটাও আসলে ভালো কিছু নয়। এটা ভেতরে ভেতরে মানুষকে আরও দু:খী করে।

দু:খ থেকে রাগ, হতাশা, ভয় – এগুলো সৃষ্টি হয়, অথবা এইসব নেতিবাচক অনুভূতি আরও শক্তিশালী হয়। আর এই সবগুলো অনুভূতিই মানুষের জীবনের উন্নতির পথে বাধা। তাই দুঃখের সঠিক কারণ খুঁজে বের করে সেই দুঃখ দূর করার উপায় বের করা জরুরী। দু:খের মধ্যে আটকে থাকলে জীবনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায় না।

 

আজ আপনাকে এমন ৪টি উপায় বলব, যেগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি ধৈর্যের সাথে দু:খ ও মন খারাপের মত বিষয়গুলোকে সামলাতে পারবেন। এবং জীবনে এগুলো থাকার পরও কিভাবে সফল ও সুখী হওয়া যায় – তার একটা ধারণা পাবেন।

দুঃখ দূর করার ৪ উপায়:

০১. আপনার দুঃখ এর ধরন বোঝার চেষ্টা করুন

দুঃখ দূর করার উপায়

বেশকিছু মনোবিজ্ঞানীর মতে, দু:খ কে মূলত ৩টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়:

** সাময়িক দুঃখ:

এটা একটা মুড। মাঝে মাঝেই মানুষের মন খারাপ থাকে। আবার কিছু সময় পর ভালো হয়ে যায়। একা একা শুয়ে শুয়ে ছোটবেলার কথা ভাবতে ভাবতে মন ভারী হয়ে যায়। বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। কিন্তু একটু পরই আমরা সেটা ভুলে যাই।

এধরনের মুড কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। কিন্তু মাঝে মাঝেই যদি এভাবে মুড অফ থাকে – তবে আপনার স্বাভাবিক কাজের ক্ষতি হবে।

 

এটা তাদের বেশি হয় যারা ঠিকমত ঘুমায়না, অথবা বেশি আলস্য করে।

এই ধরনের সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান হল নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো, এবং দিনের কিছুটা সময় শারীরিক পরিশ্রম করা। ব্যায়াম করা, কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করা, একটু খেলাধুলা করা – ইত্যাদি মনকে অনেক বেশি প্রফুল্ল রাখে। এছাড়া সিগারেট, মদ ইত্যাদি নেশা বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত কোমল পানীয় এবং চা-কফি এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে এই ধরনের মুড অফ থাকার সমস্যা কমে যায়।

 

** বিশেষ কারণে মন খারাপ

এই ধরনের দু:খবোধ এর কারণ হল কোনও বিশেষ ঘটনার কারণে মনে কষ্ট পাওয়া। কাছের মানুষের কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত আচরণ পাওয়া, অফিসের বসের কাছে অপমানিত হওয়া, খুব কাছের কেউ মারা যাওয়া, বড় আর্থিক ক্ষতি হওয়া – ইত্যাদির ফলে মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী দু:খের সৃষ্টি হয়। এর ফলে অনেকটা সময়ের জন্য কিছুই করতে ভালো লাগে না। এমনকি বছরের পর বছর ধরেও এসব কারণে মানুষের মন খারাপ থাকে।

এর থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই এটাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি এটা নিয়ে কথাও বলতে চায় না। কিন্তু এটা মনের ভেতরে দু:খটিকে আরও গভীর করে। সেলফ ডেভেলপমেন্ট কোচ ক্যাথরিন স্যানফোর্ড এর মতে, এগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা না করে, এগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বললে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

খুব কাছের বন্ধু, আত্মীয়, ভাই-বোন – যে কারও সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললে মন হাল্কা হবে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে অনেক ভালো পরামর্শও পাওয়া যায়, যেগুলো আপনাকে

 

** ডিপ্রেশন বা হতাশা

এটা সবচেয়ে বিপজ্জনক। এটা মানুষকে একদম আটকে ফেলে। যদি সবকিছুতেই নেগেটিভ চিন্তা আসে, কোনও আশার কথা শুনলেই যদি মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, অথবা যদি মনে হয় জীবনে আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না – এবং এজন্য আপনি কিছু চেষ্টাও করেন না – তবে খুব সম্ভবত আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন।

আপনার যদি মনে হয় আপনি একটু হলেও ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগছেন, তবে পরের টিপস গুলো আপনার জন্য।

০২. ভেবে দেখুন, আপনি জীবনে কি চান?

image

দুঃখ দূর করার একমাত্র উপায় হল সুখী হওয়া। যেখানে দুঃখ আছে, সেখানটা সুখে ভরে দেয়া। বলতে খুব সহজ – কিন্তু করাটা এত সহজ না-ও হতে পারে।

 

সুখের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হল, আমরা জীবনে যা করতে চাই – তা করতে পারা। যদি সব সময়ে মন খারাপ থাকে, অথবা হতাশ লাগে, তাহলে ভেবে বের করুন, সবচেয়ে সহজ কোন কাজটা করতে পারলে একটু ভালো লাগবে। তারপর সেই কাজটি করুন। হয়তো বাইরে গিয়ে একটু চা খেলে ভালো লাগবে, বা কোনও বন্ধুর সাথে দেখা করলে, একটা মুভি দেখলে মনটা একটু ভালো হবে। যেটাই হোক, সাথে সাথে করে ফেলুন। এবং এই ধরনের কাজ করতে করতেই একটু ভাবার চেষ্টা করুন, জীবনে কোন জিনিসটা করতে পারলে আপনি সবচেয়ে খুশি হবেন। কি হতে পারলে জীবনে আর কিছু চাইবেন না।

হয়তো একবারে ভেবে বের করতে পারবেন না, কিন্তু একটা সময়ে ঠিকই পারবেন। আর যখন পারবেন, তখন দিনের বেশিরভাগ সময় সেই কাজটির পেছনে কাটান। ফলাফল নিয়ে ভাববেন না। শুধু কাজ করে যান। ফলাফলের চেয়ে কাজের প্রসেস বা প্রক্রিয়াকে বেশি প্রাধান্য দিন।

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা এবং মোটিভেটর গ্যারি ভেইনারচাক একবার বলেছিলেন, আপনি যদি কাজের প্রসেসটাকে উপভোগ করতে না পারেন – তবে যত বড় অর্জনই করুন না কেন – আপনি সুখী হতে পারবেন না। আর আপনি যেটাকে ভালোবাসবেন, একদিন না একদিন তাতে সফল হবেনই।

এই কারণেই অনেক টাকা ওয়ালা মানুষকেও ডিপ্রেশনে ভুগতে দেখা যায়। তাদের হয়তো অনেক টাকা আর ক্ষমতা আছে – কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থেই যেটা করতে চায় – তা করতে পারেনি।

কাজেই, খুব মন দিয়ে ভাবুন – আপনি এখন যা করছেন, তা কি আসলেই আপনি করতে চান? – যদি তা না হয়, তবে এটাই হয়তো আপনার ডিপ্রেশনের কারণ।

দিনে কিছুটা সময় অন্তত নিজের প্যাশনের পেছনে দিন, তাহলেই দেখবেন ডিপ্রেশন অনেক কমে যাচ্ছে।

০৩. অন্যের দিকে তাকানো বন্ধ করুন

দুঃখ

আরেকটা ব্যাপার ভেবে দেখুন, আপনি কি নিজের জন্য কাজ করছেন না অন্যের জন্য? – এখানে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার কথা বলছি না। কোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য চাকরি করলে যদি আপনার ভালো লাগে – তাহলে সেটাই করুন। এখানে বলছি, আপনি কি অন্য কাউকে খুশী করার জন্য আপনার জীবন কাটাচ্ছেন? – অথবা অন্য কারও কিছু আছে, আপনাকেও সেটা পেতে হবে – এমন মনোভাব নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন?

 

সুখী থাকার একটি প্রধান শর্ত হল অন্যের দিকে না তাকানো। অন্যের কি আছে না নেই – এটা যেন কখনও আপনাকে পীড়া না দেয়। আরেকজনের আইফোন আছে বলে আপনারও আইফোন থাকতে হবে, অন্যের বিএমডব্লিউ আছে বলে আপনারও থাকতে হবে – এই ধরনের মানসিকতাই মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি অশান্তির সৃষ্টি করে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 268 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,222 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
1 উত্তর 4,515 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 208 বার দেখা হয়েছে

10,720 টি প্রশ্ন

18,363 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

240,101 জন সদস্য

53 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 53 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...